মুম্বই: তিনি নব্বই দশকের সেরা অভিনেত্রী হিসেবেই জায়গা করে নেন বলিউডে৷ ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ থেকে ক্যারিয়র শুরু করেন বাঙালী বালা রানি মুখার্জি৷ তারপর ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হ্যালো ব্রাদার’, ‘বিচ্ছু’, ‘কহিঁ প্যার না হো যায়ে’-র মতো সুপারহিট সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেন৷ কর্ণের ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতেও বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে৷
এই রকম হিট সিনেমা করার পর এক সময় নাকি তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতায় এতটাই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেন যে, একাধিক ছবির প্রস্তাব পেলেও তা ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন৷ কারণ তার মনে হচ্ছিল এগুলি তারজন্য মানানসই চরিত্র নয়৷ একুশ শতকের প্রথম দিকে এই কারণে বেশ মুষডে় পডে়ছিলেন রানি৷
রানির এই রকম ভাবে ছবি নাকোচ করায় সেই সময় নাকি তাঁর উপর আরও চটে গিয়েছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক ও প্রযোজক যশ চোপড়া৷ সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজেই সে খবর জানিয়ে রানি বলেছেন, এক বার নাকি জেদের বশে তাঁর মা-বাবাকেও ঘরে আটকে রেখে দিয়েছিলেন প্রয়াত যশ চোপড়া৷ ‘মুঝসে দোস্তি করোগে’ ছবির পরে প্রায় আট মাস নাকি একটিও ছবির প্রস্তাবে সায় দেননি রানি৷ রানি বলেন, ‘আমার মা তো ভেবেছিলেন, আমি পাগল হয়ে গিয়েছি৷ যা যা ছবির প্রস্তাব আসছে, আমি সবেতেই না বলে দিচ্ছি৷ বেকার বাডি়তে বসে রয়েছি৷ আমি তখন নিজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম৷’
সেই সময় নাকি তাঁর কাছে ‘সাথিয়া’ ছবিটির প্রস্তাব আসে৷ দক্ষিণী পরিচালক মণি রত্নমের একটি ছবির হিন্দি সংস্করণ ‘সাথিয়া’৷ সেই ছবির প্রস্তাবও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রানি৷ অভিনেত্রীর মা-বাবা যশ চোপড়ার কাছে গিয়েছিলেন রানির সিদ্ধান্ত জানাতে৷ তখনই নাকি রানিকে ফোন করে যশ চোপড়া জানান, ‘সাথিয়া’ ছবির জন্য হ্যাঁ বলা পর্যন্ত তিনি তাঁর মা-বাবাকে নিজের ঘরেই আটকে রাখবেন৷
শেষ পর্যন্ত যশ চোপড়ার জেদেই ‘সাথিয়া’ ছবিতে বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি৷ ওই ছবি রানির অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা ও সফল কাজের তকমা পেয়েছে৷ সেই কারণে আজ পর্যন্ত যশ চোপড়ার কাছে কৃতজ্ঞ রানি৷ ২০১২ সালে প্রয়াত হন বলিউডের নামজাদা পরিচালক ও প্রযোজক৷ ২০১৪ সালে যশ-পুত্র আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রানি৷