তুমাকুরু, ২৭ নভেম্বর – প্রতিবেশীদের লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হয়ে আত্মঘাতী, এই অভিযোগে আত্মঘাতী হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন সদস্য। রবিবার এই ঘটনা ঘটে কর্ণাটকের তুমাকুরুর সদাশিবনগরে। রবিবার একটি বাড়ি থেকে দম্পতি সহ তিন সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে রাজ্যের মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি সু্ইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের এই পরিণতির জন্য প্রতিবেশীদের দায়ী করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার একই পরিবারের পাঁচ সদস্য জীবন শেষ করার আগে একটি ভিডিও করে। পরে ভিডিওটি গরিব সাব নামে ওই ব্যক্তি তার এক আত্মীয়ের কাছে পাঠান। আত্মহননের কারণ হিসেবে তিনি ঋণ নেওয়ার কথা জানান। আর এই কারণেই প্রতিবেশীদের হয়রানিকেও দায়ী করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে লিখে রেখে যান ২ পাতার একটি সুইসাইড নোটও। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে সুইসাইড নোটটি কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরেমশ্বরকে উদ্দেশ্য করে লেখা। সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন, কয়েক বছর আগে একটি সংস্থার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু অর্থের অভাবে ঋণের সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। এলাকায় একটি কাবাবের দোকান চালাতেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন।
৪২ বছরের ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন যে তিনি সিরা তালুকের লাক্কানাহল্লির বাসিন্দা। কিন্তু সন্তানদের শিক্ষার জন্য কয়েক বছর আগে তুমাকুরুতে চলে এসেছিলেন। কিন্তু ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার জন্য প্রায় সংস্থার তরফে লোক আসত। এটি জানাজানি হয় প্রতিবেশীদের মধ্যে। এর জন্য প্রতিবেশীদের ঘৃণা ও বঞ্চনা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত এই বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিলেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।