দোহা, ২৪ নভেম্বর – কাতারের নৌসেনার ৮ প্রাক্তন জওয়ানের মুক্তির আবেদনে সাড়া দিল স্থানীয় আদালত। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এই ৮ জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ভারতের তরফে সেই রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আবেদন করা হয়। ভারতের আবেদন গ্রহণ করে সেই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে কাতারের আদালত। ফলে, এখনই ওই অভিযুক্ত ৮ প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না।
কাতারের আদালত ফাঁসির সাজা দেওয়ার পর থেকেই তৎপর হয় বিদেশ মন্ত্রক। গত ২৬ অক্টোবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছিল ভারত সরকার। কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতার পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আটক জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। ২৩ নভেম্বর, কাতারের আদালত ভারত সরকারের সেই আবেদন গ্রহণ করেছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছিলেন, ওই ৮ প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত সরকার। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কাতারের কাছে ভারত সরকার ওই অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন করেছে। সূত্রের খবর, সেই আবেদন কয়েকদিন পরে গ্রহণ করে কাতারের আদালত। বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর এই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। শুনানির সময়, আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনের নথিটি গ্রহণ করে। এ
গুপ্তচর সন্দেহে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে এই ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু হয় তাঁদের বিচার প্রক্রিয়া। সেই সময় ভারতের তরফে কোনোরকম উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। আদালত এই ৮ জনকে ফাঁসির সাজা দেয়। এবার তার বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সুযোগ পেল ভারত।
নৌসেনার এই আট প্রাক্তন অফিসার ‘দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামে কাতারের এক সংস্থায় কাজ করতেন। এই সংস্থার হয়ে তাঁরা কাতারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতেন। সেই থেকে তাঁরা জেলে বন্দি আছেন। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে এবং পরে, দুইবার কনস্যুলার অ্যাক্সেস নিয়ে কারাবন্দি প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
উল্লেখ্য, মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল শুরু হয়। এই ৮ জনকে মুক্তি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।