জয়পুর, ১৯ নভেম্বর – নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সময় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে উৎসাহ জোগাবেন ভারতীয় দলকে। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে অনুপস্থিত প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় খেলোয়াড়রা যখন অজিদের বলের মোকাবিলা করছেন, তখন রাজস্থানে প্রচার সারছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন রাজস্থানের চুরু বিধানসভা আসনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে ক্রিকেটের উদাহরণ টানেন তিনি। রবিবার জয়পুরে তিনি বলেন, ‘রাজস্থান কংগ্রেস নেতৃত্ব অনেকটা ক্রিকেট দলের মতো। যার ব্যাটসম্যানরা একে অপরকে রান-আউট করার চেষ্টায় পাঁচ বছর কাটিয়ে দিয়েছে।’
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটমুখী রাজ্যের চুরু জেলার তারানগরে তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রচার সভায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের দ্রুত উন্নয়নের জন্য ২৫ নভেম্বর রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মোদি এদিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই দলের নেতারা উন্নয়নের শত্রু হয়ে রয়েছে এবং শত্রু হিসেবেই থাকবে। কংগ্রেস এবং ভাল উদ্দেশ্যর মধ্যে সম্পর্ক আলো ও অন্ধকারের মতো।’
মোদি এদিন আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের অপশাসনের কারণে রাজস্থানে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।’
এর আগে রাজস্থানের এক নির্বাচনে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির উচিত ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান না দিয়ে ‘আদানিজি কি জয়’ বলা।” রাহুল দাবি করেন, ‘একটি হিন্দুস্তান আদানির জন্য এবং অন্যটি দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য।’
এদিন রাহুলের সেই মন্তব্যেরও কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি নাম না করে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটকে দ্বন্দ্ব নিয়েও খোঁচা দেন মোদি।
‘ওয়ান ব্যাঙ্ক, ওয়ান পেনশন ‘ স্কিমের বিষয়ে প্ৰাক্তন সৈন্যদের বিভ্রান্ত করার জন্য এদিন পাল্টা কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী।