• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি বিহার সরকারের

 পাটনা, ১৭ নভেম্বর – ধর্মীয় শোভাযাত্রায় কোনওরকম অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না৷ বিহারে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতীশ কুমারের সরকার৷ শুধু তাই নয়, ধর্মীয় শোভাযাত্রা করতে গেলে উদ্যোক্তাদের তরফে কম করে পঁচিশজনকে আবেদনপত্রের সঙ্গে হলফনামা দিয়ে ঘোষণা করতে হবে কেউ যে কেউ অস্ত্র, বা  আগ্নেয়াস্ত্র বহন করবে না৷ সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত শব্দমাত্রা মেনে মাইক

 পাটনা, ১৭ নভেম্বর – ধর্মীয় শোভাযাত্রায় কোনওরকম অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না৷ বিহারে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতীশ কুমারের সরকার৷ শুধু তাই নয়, ধর্মীয় শোভাযাত্রা করতে গেলে উদ্যোক্তাদের তরফে কম করে পঁচিশজনকে আবেদনপত্রের সঙ্গে হলফনামা দিয়ে ঘোষণা করতে হবে কেউ যে কেউ অস্ত্র, বা  আগ্নেয়াস্ত্র বহন করবে না৷ সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত শব্দমাত্রা মেনে মাইক ব্যবহার করা হবে এবং অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা ছড়ানো হবে না৷ এই শর্ত লঙ্ঘন করলে লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ তবে অস্ত্র একমাত্র শিখ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ছাড় থাকবে৷

বিহার সরকার সমস্ত জেলার পুলিশকে জানিয়েছে,  শোভাযাত্রায় অস্ত্র হাতে  কেবল মাত্র শিখ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হবে৷ ছট পুজোর শুরুর আগের দিন জারি করা এই নির্দেশ ঘিরে রাজ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে৷ সরকারি সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরে রাজ্যে বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা ঘটে৷ সেগুলির সূত্রপাত হয় বিভিন্ন ধর্মীয় শোভাযাত্রা ঘিরে৷ কখনও রাম নবমী ,কখনও মহরমের মিছিল ঘিরে অশান্তি ছডি়য়ে পডে়৷ শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মাইক্রোফোন শব্দ যন্ত্রণার কারণ হচ্ছে৷ সেগুলি থেকেই ধর্মীয় ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে৷

তিনি আরও জানান, রাজ্য পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা ধর্মীয় মিছিলে অস্ত্র নিষিদ্ধ করে নির্দেশিকা জারির জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল৷ সেই মতো নতুন নির্দেশ জারি হয়েছে৷ নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পুলিশ যে সব মিছিলের অনুমতি দেবে সেগুলির ভিডিও করা হবে৷ যাতে গোলমাল, উস্কানির ঘটনায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়৷

আগামী দু’দিন ধরে রাজ্যে ছট পুজো চলবে৷ ছটের শোভাযাত্রা ঘিরেও অশাম্তির একাধিক ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেছে৷ বিহার সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিব কেএস অনুপম জেলা প্রশাসনকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, সরকারের নজরে এসেছে যে ধর্মীয় শোভাযাত্রাগুলি থেকে তারস্বরে মাইক বাজানো এবং অস্ত্র প্রদর্শনের ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে৷ অনেক সময় তা থেকে বড় ধরনের অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷