• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে মায়ানমারের ৩৯ সেনা-সহ ৫,০০০

নাইপেইদিউ, ১৪ নভেম্বর– মায়ানমারের একের পর এলাকা কুক্ষিগত করছে বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’৷ প্রাণ বাঁচাতে শুধু গ্রামবাসীরাই নয় মায়ানমার সেনাও ভারতে ঢুকে পড়ছে৷ আর এভাবেই গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মিজোরামে ঢুকে পডে়ছেন অন্তত ৫,০০০ মায়ানমারের নাগরিক৷ মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, সেই দলে রয়েছেন ৩৯ জন সেনা সদস্যও৷ মিজোরাম পুলিশের আইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংটে মঙ্গলবার

নাইপেইদিউ, ১৪ নভেম্বর– মায়ানমারের একের পর এলাকা কুক্ষিগত করছে বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’৷ প্রাণ বাঁচাতে শুধু গ্রামবাসীরাই নয় মায়ানমার সেনাও ভারতে ঢুকে পড়ছে৷ আর এভাবেই গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মিজোরামে ঢুকে পডে়ছেন অন্তত ৫,০০০ মায়ানমারের নাগরিক৷ মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, সেই দলে রয়েছেন ৩৯ জন সেনা সদস্যও৷
মিজোরাম পুলিশের আইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংটে মঙ্গলবার বলেন, ‘মিজোরামের চাম্পেই জেলা লাগোয়া সীমান্তের অদূরে মায়ানমার সেনার রিখাওদর এবং খাওমাওয়ি ছাউনি দু’টি সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বাহিনী দখল করে৷ প্রাণভয়ে ৩৯ জন মায়ানমার সেনা জোকাওথান সীমান্ত চেকপোস্ট পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন৷ তাঁরা এ দেশে আশ্রয় চেয়েছেন৷’ লালবিয়াকথাঙ্গা জানান, সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামেরও দখল নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী৷ তাই মায়ানমারের প্রায় ৫,০০০ গ্রামবাসী আতঙ্কে ভারতে চলে এসেছেন৷
মিজোরাম পুলিশ সূত্রের খবর, গুলিতে জখম কয়েক জন গ্রামবাসীকে চাম্পেই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃতু্যও হয়েছে৷ গত ৭ নভেম্বর বিধানসভার ভোটপর্ব মিটলেও এখনও ভোটগণনা হয়নি মিজোরামে এই পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আগমনে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন৷ মিজোরাম ছাড়াও উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ এবং হিংসাদীর্ণ মণিপুরের সঙ্গেও মায়ানমারের স্থলসীমান্ত রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার নজরদারিতে নিযুক্ত বিএসএফ এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর৷
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে মধ্যপর্বে মায়ানমারের তিনটি বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করেছে৷ মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ বিদ্রোহীদের পাশে দাঁডি়য়েছে৷ ইতিমধ্যেই উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান এবং সাগিয়াং প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখলে গিয়েছে৷ মায়ানমার-চিন সংযোগরক্ষাকারী প্রধান সড়কও বিদ্রোহীদের দখলে চলে গিয়েছে৷ এ বার লড়াই বেধেছে পশ্চিমের চিন প্রদেশে৷
গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে মায়ানমারের লক্ষাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই ঘরছাড়া হয়েছেন বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে৷ এক দশক আগের রোহিঙ্গা বিতাড়ন পরিস্থিতির পরে তাই মায়ানমারের বর্তমান গৃহযুদ্ধ নতুন করে ‘শরণার্থী সমস্যা’ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ফলে চিন্তা বেডে়ছে নয়াদিল্লির৷