• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

ভারতে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একজনের উধাও কোটি কোটি টাকা

দিল্লি, ১০ নভেম্বর– কোথাও সুরক্ষিত নন ভারতীয় আম নাগরিকরা৷ বিশেষ করে প্রবীণ ও গৃহবধূরা৷ সরকারি দফতর থেকে আম নাগরিকের অন্দরমহল—সব ক্ষেত্রেই সাইবার জালিয়াতির বড়সড় চক্র সক্রিয় ভারতে৷ কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জেনে নিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আবার কখনও ডিজিটালে বিনিয়োগের লোভ দেখিয়ে ডার্ক ওয়েবের অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা৷ জালিয়াতির এই চক্রের এমন রিপোর্ট পেশ

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

দিল্লি, ১০ নভেম্বর– কোথাও সুরক্ষিত নন ভারতীয় আম নাগরিকরা৷ বিশেষ করে প্রবীণ ও গৃহবধূরা৷ সরকারি দফতর থেকে আম নাগরিকের অন্দরমহল—সব ক্ষেত্রেই সাইবার জালিয়াতির বড়সড় চক্র সক্রিয় ভারতে৷ কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জেনে নিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আবার কখনও ডিজিটালে বিনিয়োগের লোভ দেখিয়ে ডার্ক ওয়েবের অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা৷
জালিয়াতির এই চক্রের এমন রিপোর্ট পেশ করল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), যা পড়ে চমকে উঠতে হয়৷ রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একজন সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন৷
সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কুইক হিল টেকনোলজিস লিমিটেড গোটা দেশে একটি সমীক্ষা চালায়৷ দেশের কোন শহরে সাইবার প্রতারণা বেশি হচ্ছে, কী কী কৌশলে প্রতারকরা লোক ঠকাচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ তাতেই ধরা পডে়, দেশের মেট্রো শহরগুলিতে অহরহ ঘটে চলেছে সাইবার প্রতারণা৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, বছরের শুরু থেকে অক্টোবর মাস অবধি বিশ্বজুড়ে মোট ৩,৩০০ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবে টাকা উধাও হয়েছে৷
গোয়েন্দারা বলছেন, ২০০১ সালের আগে সাধারণ মানুষকেই বেশি টার্গেট করত হ্যাকাররা, এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকী বাণিজ্যিক সেক্টরগুলিতে হানা দিচ্ছে প্রতারণা চক্রগুলি৷ কম্পিউটার সিস্টেমে ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে জরুরি ও গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ করোনাকালে ওই চক্র বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷
তবে রাজ্য নিরিখে কম বেশি রয়েছে জালিয়াতির বহর৷ যেমন এ বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে কলকাতা ৷ তারপর জায়গা করে নিয়েছে যথাক্রমে পুণে ও দিল্লি৷ সাইবার প্রতারণা নিয়ে কলকাতা পুলিশ বহুবার জরুরি গাইডলাইন দিয়েছে৷ কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অপরাধীরা প্রতারণার পদ্ধতি ঘন ঘন বদলে ফেলছে৷ আগে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ডের পিন জেনে প্রতারণা চলছিল৷ কিন্ত্ত সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে ‘কেওয়াইসি’ করার নাম করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে প্রতারণা চলছে৷  এই কারণে মোবাইলে কাউকে কোনও তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমে কাউকে বিশ্বাস করে কোনও তথ্য দিতেও নিষেধ করা হচ্ছে৷