পাটনা, ১০ নভেম্বর– যৌন সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনামে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ যদিও পরে মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হতেই ক্ষমা চেয়ে নেন নীতীশ৷ কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র বিক্ষোভ কমেনি৷ বিরোধী শিবির এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করে ফেলেছে৷ আর এরই মধ্যে আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিয়েই চমকে ওঠার মতো দাবি করলেন জিতন রাম মাঝি৷ মাঝির দাবি, নীতীশকে নাকি খুন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে! তাঁর গদি কেডে় নেওয়ার জন্যই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ এমনই মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার নেতা জিতন রাম মাঝির দাবি, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর গদি কেডে় নিতেই তাঁর খাবারে বিষ মেশানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷
তবে শুক্রবার পটনায় জিতন রাম মাঝি নীতীশকে নিয়ে যা বললেন তারপর রাজনীতিবিদরা এর সঙ্গে বৃহস্পতিবারের যৌন মন্তব্যকে থামানোর কৌশল বলেই মনে করছেন৷ কারণ এদিন জিতন বলেন, “মনে হচ্ছে বড় একটা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হচ্ছে৷ তারই ফল হল উনি মহিলাদের সম্পর্কে ও আমার নামে এমন মন্তব্য করেছেন৷”
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই বিহারের বিধানসভায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার৷ রাজ্যে জনসংখ্যা কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মহিলাদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তিনি৷ নীতীশের এই মন্তব্য় ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়৷ বাধ্য হয়ে পরেরদিন ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী৷
নীতীশের আনা সংরক্ষণের প্রস্তাবে সমর্থন জানান জিতন রাম মাঝি৷ গেজেটেড অফিসারদের মধ্যে উপজাতিদের প্রতিনিধিত্ব অনেক কম, এই বিষয়ে কথা বলছিলেন প্রাক্তন মাঝি, কিন্ত্ত তাঁকে মাঝপথেই থামিয়ে দেন নীতীশ কুমার৷ পূর্ববর্তী তাঁর সরকারকেই দোষারোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কে আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিল? আমি বোকামো করেছি আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী করে৷ এই লোকটার কোনও বোধ-বুদ্ধি নেই৷ আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে ভুল করেছি আমি৷’
বিজেপির বিধায়করা নীতীশের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করলেও, তিনি থামেননি৷ উল্টে আরও বলেন, ‘এখন উনি রাজ্যপাল হতে চাইছেন৷ করে দিন ওঁকে রাজ্যপাল৷ ওঁর পরিবারের সদস্যরা বিরক্ত, ওঁর শ্রেণির (দলিত) মানুষরাও ক্ষোভ পুষে রেখেছেন৷ আগে উনি কংগ্রেসে ছিলেন, এখন কোনও কাজের নন উনি৷’