পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিরা পাহাড়ের উপরে থাকায় বেশি সুবিধা পাচ্ছিল। কমান্ডোদের সব গতিবিধি নজর রেখে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছিল। সেই সময় ওই হাইওয়েতেই টহল দিচ্ছিল অসম রাইফেলসের মাইন প্রতিরোধী গাড়ি। কমান্ডোদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে বিষয়টি চোখে পড়তেই অসম রাইফেলসের জওয়ানরা তাঁদের ‘কভার আপ’ করতে এগিয়ে যান। মাইন প্রতিরোধী গাড়ি থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। আর সেই সুযোগেই একের পর এক কমান্ডোদের উদ্ধার করেন তাঁরা।
দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাটি ৩১ অক্টোবরের। ‘উপরের দিকে, উপরের দিকে’— পাহাড়ের দিকে দেখিয়ে বলতে শোনা গেল অসম রাইফেলসের এক জওয়ানকে। তার পরই ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে অসম রাইফেলসের মাইন প্রতিরোধী গাড়ি লক্ষ্য করে। পাল্টা গুলি চালান অসম রাইফেলসের জওয়ানরাও। বেশ কিছু ক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। তার পর মণিপুর পুলিশ কমান্ডোদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন কমান্ডোকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে। এক কমান্ডো রক্তে পুরো ভিজে গিয়েছিলেন। গুরুতর আহত সেই কমান্ডোকে গাড়ির মধ্যেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আরও দুই কমান্ডোকেও আহত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। অসম রাইফেলসের এক জওয়ানকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘চিন্তা কোরো না। সব ঠিক হয়ে যাবে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জন কমান্ডো আহত হয়েছেন এই হামলায়।