• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

‘শোলে’ই ভরসা মধ্যপ্রদেশের ভোট ময়দানে

ভোপাল, ৬ নভেম্বর– ১৯৭৫ সালের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেয়েছিল রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ‘শোলে’৷ সে ছবির প্রভাব ভারতীয় জনমানসে অর্ধশতাব্দী পরও যে কতটা তারই প্রমাণ এবারের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন৷ হিন্দি বলয়ের অন্যতম হাই ভোল্টেজ যে ভোটযুদ্ধে কী শাসক, কী বিরোধী–দু’পক্ষের গলাতেই জনগণেশের মন জয়ে অহরহ শোনা যাচ্ছে গব্বর সিং, জয়-বীরু, ঠাকুর বলদেব সিংয়ের ডায়লগ৷ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী

ভোপাল, ৬ নভেম্বর– ১৯৭৫ সালের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেয়েছিল রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ‘শোলে’৷ সে ছবির প্রভাব ভারতীয় জনমানসে অর্ধশতাব্দী পরও যে কতটা তারই প্রমাণ এবারের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন৷ হিন্দি বলয়ের অন্যতম হাই ভোল্টেজ যে ভোটযুদ্ধে কী শাসক, কী বিরোধী–দু’পক্ষের গলাতেই জনগণেশের মন জয়ে অহরহ শোনা যাচ্ছে গব্বর সিং, জয়-বীরু, ঠাকুর বলদেব সিংয়ের ডায়লগ৷
কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কমলনাথ যেভাবে শোলেকে বিধানসভা ভোটের এই মঞ্চে ব্যবহার করে বৈতরনী পার করতে চাইছেন তা সত্যিই অবাক করার মতো৷ রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই এবারের নির্বাচনে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইছে প্রায় টানা ১৫ বছর বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে৷ গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সেই হাওয়াকে ‘ঝড়’ হয়ে ওঠার রসদ জোগাচ্ছে৷ অবস্থা সামাল দিতে বিরোধী কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির৷ জবাবে শোলে ছবিকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছেন মধ্যপ্রদেশ রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের চৌকস খেলোয়াড় কমলনাথ৷
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস এবার তাঁর দুই যুযুধান নেতা একদিকে দ্বিগ্বিজয় সিং অন্যদিকে কমলনাথের লড়াইতে দ্বিধাবিভক্ত৷ আর কংগ্রেসের এই দূর্বতলতাকে কাজে লাগিয়ে দুই সর্বভারতীয় নেতার মধ্যে বিরোধকে উসকে দিয়ে আক্রমণ শানানোর কৌশল নিয়েছিল বিজেপি৷ তবে কম যান না কমলনাথও৷ বিজেপিকে উল্টো দিতে কমলনাথ রাজ্যজুডে় জনসভা করে বলতে শুরু করেছেন, তিনি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় আদতে ‘শোলে’ ছবির সেই অটুট জয় ও বীরু জুটি৷ যে জুটি আমৃতু্য থাকবে৷ ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য গব্বরকে খতম করা,’ ঘোষণা করছেন তিনি৷
কমলনাথের ‘গব্বর সিং’ যে আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তা অবশ্য বলার অপেক্ষা থাকে না৷ বিপাকে পডে় পালটা তোপ দেগেছেন মারাঠা পেশোয়া বাজিরাওয়ের প্রধান সেনাপতি রণোজি সিন্ধিয়ার উত্তরসূরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া৷ তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেস নেতার বুক চাপডে় বলা ‘জয়’ আর ‘বীরু’ তো আসলে ‘শোলে’র প্রথম জীবনে চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়া জেলখাটা আসামি৷ মধ্যপ্রদেশে এই দু’জন চোর বলেই পরিচিত৷ ক্ষমতায় থাকাকালীন জয়-বীরু জুটি জনগণের অর্থ লুঠ করেছে৷ কমলনাথের ‘জয়-বীরু’ জুটি নিয়ে তোপ দেগেছেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিমনি কেন্দ্রের প্রার্থী নরেন্দ্র সিং তোমরও৷ তিনি বলছেন, “আরে! এই জয় ও বীরু জুটি ভোটের আগে লোক দেখাতে বন্ধুত্বের হাত বাডি়য়েছে৷ অথচ আমার ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের জয়-বীরু জুটি দীর্ঘদিনের৷” পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেবওয়ালা৷ তাঁর কটাক্ষ, এঁরা গব্বর বাহিনীর দুই নাম করা ডাকাত কালিয়া ও শামহা৷ গব্বর থাকেন দিল্লিতে৷
তবে এই নির্বাচনী শোলে শেষপর্যন্ত কার জয় নিশ্চিত হয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ৷