স্কুল শিক্ষকদেরও পদোন্নতির চিন্তাভাবনা
কলকাতা, ৪ নভেম্বর – বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পদ্ধতিতে শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়, সেভাবেই স্কুল শিক্ষকদেরও পদোন্নতির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন শিক্ষকদের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর— এই তিন ভাগে পদোন্নতি হয়, স্কুলের শিক্ষকদেরও সে রকম পদোন্নতি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হতে পারে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের যেমন ‘অ্যাকাডেমিক পারফর্মেন্স ইন্ডিকেটর’ বা এপিআর-এর মাধ্যমে পদোন্নতি হয়, স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তেমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান চিরঞ্জীব।
পিআর-এ এক জন শিক্ষকের পড়ানোর দক্ষতার পাশাপাশি, তিনি কী বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন, গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন কি না, কোনও বই প্রকাশ করছেন কি না, দেশে বা দেশের বাইরে কোথাও গবেষণাপত্র পড়তে যাচ্ছেন কি না, পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাসরুম শিক্ষার বাইরে কোথাও শিক্ষামূলক ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন কি না, এ সব নানা দিক দেখা হয়। পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বা প্রফেসর হতে গেলে ইন্টারভিউও দিতে হয়। চিরঞ্জীব জানান, স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও শিক্ষক প্রয়োজনে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস নিচ্ছেন কি না, শিক্ষামূলক ভ্রমণ করছেন কি না, স্কুলে পড়ানো ছাড়া স্কুলে প্রশাসনিক কাজও করছেন কি না, তা দেখা হবে। চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘এখন স্কুলে সামাজিক প্রকল্প চলছে যেমন মিড ডে মিল, কন্যাশ্রী প্রকল্প সহ নানা প্রকল্প। আছে বিভিন্ন ক্লাসে বৃত্তি পরীক্ষা। এ সব কাজের সঙ্গে এক জন শিক্ষক কতটা যুক্ত, দেখা হতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষকেরা গবেষণামূলক কোনও কাজ করছেন কি না বা বই প্রকাশ করছেন কি না, তা-ও দেখা হতে পারে।’’
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই ছয় সদস্যের কমিটি শিক্ষা দফতরকে তাঁদের প্রস্তাব জমা দেবেন। এদিকে শিক্ষকদের পদোন্নতি কী পদ্ধতিতে হতে পারে, তা নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি এবং অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, ‘‘শিক্ষকদের পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের পে স্কেলও বাড়াতে হবে। শিক্ষকরা অনেক সময় গবেষণার সুযোগ পান না। সেই সুযোগ দিতে হবে।’’