দিল্লি, ৪ নভেম্বর– তাজমহলের ‘ভুল’ শুধরে নিতে এএসআইকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট৷ ইতিহাস বইয়ের ভুল সংশোধন করার আর্জি নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় বিষয়টি বিবেচনার জন্য ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-কে নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট৷ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু সেনা’র তরফে দিল্লি হাই কোর্টে দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ওই সৌধ শাহজাহান নির্মাণই করেননি, তিনি রাজা মান সিংহের তৈরি প্রাসাদের সংস্কার করেছিলেন মাত্র৷ এ নিয়ে ইতিহাস বইয়ে যে সব তথ্য রয়েছে, তা ‘ভুল’৷ এ দিন দিল্লি হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বিষয়টি বিবেচনার জন্য ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণকে নির্দেশ দিয়েছে৷ ‘হিন্দু সেনা’ সংগঠনের তরফে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি আজ ছিল দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চে৷
মামলকারীর তরফে বলা হয়, স্কুল ও কলেজের ইতিহাসের বই থেকে শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন বলে যে তথ্য রয়েছে সেই সমস্ত ‘ভুল’ তথ্য সংশোধন করা দরকার৷ আবেদনকারীর আর্জি, এ নিয়ে এএসআই, কেন্দ্র সরকার, উত্তরপ্রদেশ সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ‘ভুল সংশোধন’ করার নির্দেশ দিক আদালত৷
আদালতে দায়ের করা আবেদনে সংগঠনটির তরফে দাবি করা হয়, ১৬৩১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাজা মান সিংহের প্রাসাদের অস্তিত্ব-সহ তাজমহলের বয়স সম্পর্কে তদন্ত করা হোক এবং আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করুক এএসআই৷ হাই কোর্টকে এ নিয়ে নির্দেশ দিতে আবেদন জানানো হয়েছে৷
মামলাকারীর দাবি, ১৬৩২ থেকে ১৬৩৮ সাল পর্যন্ত রাজা মান সিংহের ওই প্রাসাদের সংস্কার করেছিলেন শাহজাহান৷ আবেদনে দাবি করা হয়েছে, আবদুলের লেখা ‘পাদশাহনামা’ নামের একটি বইয়ে উল্লিখিত তথ্য থেকে এই বিষয়টি জানা গিয়েছে৷ আবেদনে বলা হয়েছে, এএসআইয়ের ওয়েবসাইটে তাজমহল নিয়ে ভুল তথ্য রয়েছে৷
গত বছরই অযোধ্যা জেলা বিজেপির মিডিয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নেতা রজনীশ সিংহ আদালতে আবেদনে জানিয়েছিলেন, তাজমহল যে শাহজাহানই তৈরি করেছিলেন, তার কোনও ‘বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ’ নেই৷ এই স্থাপত্যের আসল ইতিহাস জানতে তাজমহলের ভূগর্ভে বন্ধ থাকা ২২টি ঘরের দরজা খুলে দেওয়া হোক৷ সে সময় সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেছিল, ‘‘এমন আবেদন শুধু মাত্র প্রচারের স্বার্থেই করা হয়েছে৷”