রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গর্ভনরের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিরল আচার্য। কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদ ছাড়লেন। ব্যক্তিগত কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে ইস্তফা পত্রে জানিয়েছেন। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল বিরল আচার্যের।
আরবিআইয়ের ডেপুটি গর্ভনরের পদত্যাগের সঙ্গে অনেকেই মিল খুঁজে পাচ্ছেন প্রাক্তন গর্ভনর উর্জিত প্যাটেলের। তিনিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছিলেন। উর্জিত প্যাটেলের মতাে বিরল পরিস্থিতির শিকার বলে অনেকের ধারণা। অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ডেপুটি গর্ভনরের পদ ছেড়ে আগস্টে নিউ ইয়র্কের ‘স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেস’-এ ফিরে যাচ্ছেন বিরল আচার্য। তাঁর যাওয়ার কথা ছিল আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে’।
প্রাক্তন গর্ভনর উর্জিত প্যাটেল ইস্তফা দেওয়ার পরই ডেপুটি গর্ভনরের ইস্তফা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু আরবিআই সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়।
কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে আরবিআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না, এই কারণে উর্জিত প্যাটেল মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ডিসেম্বর মাসে পদ ছাড়েন বলে জানা যায়। তবে তিনি জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে পদ ছাড়ছেন।
এদিকে, ডেপুটি গর্ভনর বিরল আচার্যের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত হয় কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে। ডেপুটি গর্ভনর এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের সমালােচনা করে বলেন, “স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নাক গলালে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দেশ”।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের রাজকোষের ভাগ চেয়েছিল কেন্দ্র। নির্বাচনের আগে দেশের অর্থ সংস্কট কাটাতে কেন্দ্রের এই আবদারের বিরােধিতা করেন উর্জিত প্যাটেল। বিরল আচার্যও সেই সময় প্যাটেলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বিরল আচার্যের ইস্তফার কথা উড়িয়ে দিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, অন্য এক ডেপুটি গর্ভনর এন এস বিশ্বনাথন জুলাইয়ে প্রথম সপ্তাহে অবসর নেবেন। তবে সূত্রের খবর, আরবিআইয়ের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল পাত্র এবং অর্থমন্ত্রকের প্রধান উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল ডেপুটি গর্ভনরের তালিকায় রয়েছেন।