একে নিজের উপার্জনের টাকায় ভাগ বসাচ্ছে বোনেরা। তার উপর দিতে হবে বাবার সম্পত্তির ভাগও। তাই বিষ খাইয়ে দুই বোনকে খুন করার পরিকল্পনা করে দাদা! তাই দুই বোনকে খুনের জন্য সরকারি চাকুরে দাদা অনলাইনে বিষপ্রয়োগ সংক্রান্ত ৫৩ রকমের সার্চ করছিলেন। গন্ধহীন বিষ থেকে মিষ্টি স্বাদের বিষ, অভিযুক্ত সার্চ করেছিলেন এমনই বিভিন্ন বিষয়ে। এমনকী, বিষপ্রয়োগ করার পর কতদিন পরে মৃত্যু হতে পারে তা নিয়েও বিশদে অনলাইনে চর্চা করেছিলেন তিনি। ধৃতের মোবাইল ফোন ঘেঁটে পাওয়া সেই তথ্য দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
অভিযুক্ত গণেশ মোহিত মুম্বইয়ের পালঘরের বাসিন্দা। যুবক জানিয়েছেন, তিনি গত ১৫ অক্টোবর মা ও বোনদের নিয়ে নবরাত্রির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঠিক হয়, এক আত্মীয়ের বাড়ি যাবে তাঁরা। ওই আত্মীয়দের সঙ্গে তাঁদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। খুন করে সেই দায় ওই আত্মীয়দের ঘাড়ে চাপানোরই পরিকল্পনা ছিল গণেশের।
অভিযুক্তের দাবি, তিনি নিজে স্যুপের সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাইয়েছিলেন বোনদের। পরে ঘরে রাখা জলের বোতল থেকে জলও খাওয়ায় বোনেদের। আত্মীয়রা জলে বিষ মিশিয়ে রেখেছে বলে বোনদের বোঝাতে থাকে। এরপর ১৭ ও ২০ অক্টোবর মৃত্যু হয় তাঁর দুই বোনের। এদিকে আত্মীয়রা বারান্দায় থাকা জলের বোতলে কিছু মেশাচ্ছেন এমন কোনও ফুটেজ সিসিটিভি ঘেঁটে পাওয়া যায়নি। তখনই পুলিশ জানতে পারে যে গণেশের সঙ্গে বোনেদের ঝামেলা চলছিল। তাঁকে জ্জিজ্ঞাসাবাদ করতে বয়ানে অসঙ্গতি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অপরাধ কবুল করেন যুবক।