• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘ নমো ভারত ‘ ট্রেনের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি, নাম নিয়ে বিদ্রুপ কংগ্রেসের 

দিল্লি, ২০ অক্টোবর –  প্রথম বিশ্বমানের রিজিওনাল ৱ্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম-এর ট্রেন  উদ্বোধন করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন এই আরআরটিএস ট্রেনগুলির ‘নমো ভারত’ নামকরণ হয়েছে।  এদিন দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট রুটে  আরআরটিএস  করিডরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত উত্তর প্রদেশের সাহিবাবাদ থেকে দুহাই অবধি ট্রেনটি চলবে। নতুন এই ট্রেনগুলি ভারতের প্রথম রিজিওনাল র‌্যাপিড ট্রেন। শুক্রবার ‘নমো ভারত’ ট্রেনের উদ্বোধনের পর তাতে প্রথম সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দিল্লি, ২০ অক্টোবর –  প্রথম বিশ্বমানের রিজিওনাল ৱ্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম-এর ট্রেন  উদ্বোধন করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন এই আরআরটিএস ট্রেনগুলির ‘নমো ভারত’ নামকরণ হয়েছে।  এদিন দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট রুটে  আরআরটিএস  করিডরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত উত্তর প্রদেশের সাহিবাবাদ থেকে দুহাই অবধি ট্রেনটি চলবে। নতুন এই ট্রেনগুলি ভারতের প্রথম রিজিওনাল র‌্যাপিড ট্রেন। শুক্রবার ‘নমো ভারত’ ট্রেনের উদ্বোধনের পর তাতে প্রথম সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে  বেশ কিছু স্কুল পড়ুয়ার সঙ্গে গল্পেও মেতে ওঠেন তিনি । পাশাপাশি র‌্যাপিড এক্স ট্রেনের কর্মীদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন। 

দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট রুটে আপাতত এই ট্রেন ছুটতে শুরু করবে। পরে আরও বেশ কিছু রুটে এই ট্রেন চালু করা হবে। এই গোটা ট্রানজিট সিস্টেমটির ৮২ কিমি দীর্ঘ হওয়ার কথা। এদিকে শুক্রবার যে রুটে ট্রানজিট সিস্টেমের উদ্বোধন হল সেটি ১৭ কিমি দীর্ঘ হবে।

আরআরটিএস হল অত্যন্ত দ্রুতগতির ট্রেন, যার গতি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে বিশাল ওভারহেড স্টোরেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনে ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধার পাশাপাশি প্রত্য়েকটি আসনে চার্জিং পোর্টরয়েছে। বড় আসন, পা রাখার পর্যাপ্ত জায়গা, কোট হ্যাঙ্গারের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া ট্রেনে সিসিটিভি ক্য়ামেরা, ইমার্জেন্সি ডোর ওপেনিং মেকানিজম ও ট্রেনের চালকের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিশেষ বাটনও থাকবে।

দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডর তৈরি করতে ৩০ হাজার কোটিরও বেশি খরচ হয়েছে। আগে যেখানে দিল্লি থেকে মিরাট যেতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত, এবার এই রুটে পৌঁছতে এবার এক ঘণ্টারও কম সময় লাগবে।

রাজধানী দিল্লি এলাকার উন্নয়নের জন্য আটটি আরআরটিএস করিডোর চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি করিডোর প্রথম ধাপে বাস্তবায়িত করার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।  দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট, দিল্লি-গুরুগ্রাম-এসএনবি-আলওয়ার এবং দিল্লি-পানিপথ।  দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডোরটি ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে তৈরী করা হচ্ছে।    

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৮ মার্চ দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডোরটি ১৭ কিমি দীর্ঘ। শুক্রবার উদ্বোধনের পর শনিবার , ২১ অক্টোবর থেকে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে এই সিস্টেমে। দিল্লি এবং মিরাটের মাঝে এই রুটে মোট পাঁচটি স্টেশন থাকবে – সাহিবাদ, গাজিয়াবাদ, গুলধর, দুহাই এবং দুহাই ডিপো। এদিকে এই গোটা ট্রানজিট সিস্টেমে থাকবে ২৪টি স্টেশন। স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসে সাহিবাদ থেকে দুহাই ডিপো পর্যন্ত, পুরো রুটের সর্বোচ্চ ভাড়া ৫০ টাকা। এদিকে এই ট্রেনে প্রিমিয়াম ক্লাসের ভাড়া শুরু হবে ৪০ টাকা থেকে। এই ক্লাসে সর্বোচ্চ ভাড়া হবে  ১০০ টাকা। এদিকে যে শিশুরা ৯০ সেন্টিমিটারের ছোট, তাদের বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে। যাত্রী নিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ কিমি বেগে ছুটবে এই ট্রেন। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডরের ১৭ কিমি পথ পাড়ি দিতে ১২ মিনিট সময় লাগবে । এমনিতে সড়কপথে ১৭ কিলোমিটার দূরত্ব পার করতে আধঘন্টার কিছু বেশি সময় লাগে। এই ট্রেনে সময় লাগবে তার থেকে অনেক কম। 

এদিকে ট্রেনের ‘নমো ভারত’ নামকরণ  নিয়ে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।  কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘নমো স্টেডিয়ামের পরে এখন নমো ট্রেন। তাঁর আত্ম আবেগ এবং আত্মপ্রচারের কোনও সীমা নেই।’ এদিকে কংগ্রেস নেতা পবন খেরার বক্তব্য, ‘ভারত রাখারই বা দরকার কী? দেশের নাম বদলে নমো রাখলেই একেবারে মিটে যায়।’