জেরুজালেম, ১৯ অক্টোবর – রাফা সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণ গাজ়ায় অবরুদ্ধ প্যালিস্তিনীয়দের জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানোয় অনুমোদন দেবে মিশর। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ আল-সিসির সঙ্গে বুধবার রাতে টেলিফোনে কথা বলেন ইজ়রায়েল সফররত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনাতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছ। বাইডেন বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে মিশর।’’
জানা গিয়েছে, ওষুধ-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম, পানীয় জল, খাবার-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সাহায্য লরি করে মিশর সীমান্ত থেকে গাজায় পাঠানো হবে। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০টি লরি করে তিন হাজার টন সাহায্য মিশর থেকে যাবে গাজায়। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা এল সিসির সঙ্গে বাইডেনের সাহায্য পাঠানো নিয়ে কথাও হয়েছে। এতে সিসি রাজি বলে জানিয়েছেন বাইডেন। এই ত্রাণ ইতিমধ্যে রাফা সীমান্তে জড়ো করা হচ্ছে। আগামীকাল তা গাজায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামলা শুরুর পর প্রচুর গাজাবাসী গাজার উত্তরাংশ ছেড়ে মিশর সীমান্তের দিকে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু মিশর রাফা সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল। গাজাবাসীকে সিনাই এলাকায় জায়গা দিতে রাজি ছিল না মিশর। কিন্তু গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মিশর সাহায্য পৌঁছে দিতে রাজি হয়েছে।
প্যালেস্তিনীয়দের এই ‘গণহত্যায়’ উদ্বেগ প্রকাশ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট বুধবার বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে হয়তো আমরা দেখব প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের জন্য জমি রয়েছে। কিন্তু নাগরিক নেই।’’ এই পরিস্থিতিতে কেন প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে না মিশর? আবদেলের ব্যাখ্যা ছিল, ‘‘ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে জর্ডনে আশ্রয় নেওয়া প্যালেস্তেনীয় শরণার্থীরা যে সমস্যায় পড়েছেন, ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে পারে।’’
হামাসের রকেট হামলার পর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। সেই সঙ্গে গাজা ভূখণ্ডে সব রকম পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস করতে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চালায়। এর জেরে প্রচুর নিহীর গাজাবাসী গৃহহীন হয়েছেন। সেখানে খাদ্যের অভাব, হাসপাতালে ভিড়, চিকিৎসার জন্য ওষুধ নেই। হাসপাতালে জায়গা নেই। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে রকেট হামলা ৫০০ জনের প্রাণ কেড়েছে।