• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

৩ টো খুন! ‘মৃত’ নেভি-কর্মীকে ২০ বছর পর গ্রেফতার করল পুলিশ

দিল্লি, ১৮ অক্টোবর– কুড়ি বছর আগের কৃতকর্মের শাস্তি এখন পেতে চলেছে এক প্রাক্তন নেভি কর্মী। জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে ৩ খানা করেছিল সে। তারপর রটিয়ে দিয়েছিল নিজের মৃত্যু সংবাদ। এদিকে নাম ভাঁড়িয়ে অন্য শহরে দিব্যি চলছিল কাজকর্ম। সেই খুনের ঘটনায় সম্প্রতি এক প্রাক্তন নেভি-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্তের নাম বলেশ কুমার। তার বয়স এখন

দিল্লি, ১৮ অক্টোবর– কুড়ি বছর আগের কৃতকর্মের শাস্তি এখন পেতে চলেছে এক প্রাক্তন নেভি কর্মী। জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে ৩ খানা করেছিল সে। তারপর রটিয়ে দিয়েছিল নিজের মৃত্যু সংবাদ। এদিকে নাম ভাঁড়িয়ে অন্য শহরে দিব্যি চলছিল কাজকর্ম। সেই খুনের ঘটনায় সম্প্রতি এক প্রাক্তন নেভি-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম বলেশ কুমার। তার বয়স এখন ৬০ বছর। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের কাছে খবর আসে, দিল্লির বলে বলওয়ানা এলাকায় ২০০৪ সালের খুনের ঘটনার ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত আসামি লুকিয়ে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার দূরে নজফগড় এলাকায়। আমন সিং নাম নিয়ে সেখানে সম্পত্তির দালাল হিসেবে কাজ করছে সে। তারপরেই দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা সেখানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে বলেশ কুমার ওরফে আমন সিংকে। তারপরেই হাড়হিম করা খুনের খুঁটিনাটি তথ্য সামনে আসে।
বলেশ আদতে হরিয়ানার বাসিন্দা। সে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। ১৯৮১ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেয় সে। ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণ করার পরে সে একটি পরিবহণ ব্যবসা শুরু করে এবং পরিবারের সঙ্গে দিল্লির উত্তমনগরে থাকতে শুরু করে।
বলেশের কাছ থেকে জানা গেছে, সেই সময় দিল্লির সময়পুর বদলি এলাকার বাসিন্দা রাজেশ নামে এক যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সে। একদিন বলেশ, তার ভাই সুন্দরলাল এবং রাজেশ একসঙ্গে বসে মদ খাচ্ছিল। সেই সময় রাজেশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঝগড়ার মাঝেই দুই ভাই মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করে রাজেশকে।
এরপর নিজেদের বাঁচানোর জন্য এক ভয়ানক ফন্দি আঁটে দুই ভাই। কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়পুর বদলি এলাকা থেকে বিহারের বাসিন্দা মনোজ এবং মুকেশ নামে দুই শ্রমিককে ভাড়া করে তারা। তারপর সুন্দরলালের ট্রাকে করে তাদের নিয়ে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু যোধপুরের কাছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন ধরিয়ে দেয় ট্রাকে। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। এরপর তারা দুজনের নিজেদের জামাকাপড় পরিয়ে দেয় মৃতদেহদুটির শরীরে। বলেশ নিজের যাবতীয় পরিচয়পত্র এবং অন্য তথ্য রেখে দেয় পোড়া ট্রাকের ভিতর। তারপর পালিয়ে যায় সেখান থেকে। পরে পুলিশ এসে একটি মৃতদেহ বলেশের বলে শনাক্ত করে। অন্য দেহটি শনাক্ত করা যায়নি। পরে এই ঘটনায় পুলিশ সুন্দরলালকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীরা আদালতে জানান, পুড়ে ট্রাকের ভিতরেই মৃত্যু হয়েছে বলেশের। বলেশের স্ত্রী তার পেনশন থেকে শুরু করে অন্য সমস্ত সুবিধা পেয়ে আসছিলেন এতদিন ধরে। এমনকী, পুড়ে যাওয়া ট্রাকের বিমার টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। বলেশের সমস্ত অপরাধ দিব্যি ধামাচাপা পড়ে গেছিল এতদিন। তবে শেষরক্ষা হল না।