বেইজিং, ১৭ অক্টোবর – চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পৌঁছে গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনের বিতর্কিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেজিংয়ে আয়োজন করা হয়েছে এক সম্মেলনের। সেখানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে কমিউনিস্ট দেশটিতে পা রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়ার ক্ষেত্রে একজোট হতে পারে দুই দেশ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে রাশিয়ার যোগদান ভারতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প আসলে এক ফাঁদ । পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণের ফাঁদ পেতেছে কমিউনিস্ট দেশটি। ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চিনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। ফলে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সম্মেলনে নজর রাখবে নয়াদিল্লি।
অন্যদিকে, বিশ্লেষকদের মতে, এখন মধ্যপ্রাচ্যের হামাস বনাম ইজরায়েলের যুদ্ধে ব্যস্ত আমেরিকা। প্রথম থেকেই ইজরায়েলের পাশে রয়েছে আমেরিকা। সামরিক সাহায্য়ও করছে। এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেন সংঘাতের আবহে পুতিনের চিনে যাওয়াও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন।
পুতিনের চিনে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর আগে আমেরিকাকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন।