দিল্লি, ১৬ অক্টোবর – দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তী। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ এবং প্রবীণ সাংবাদিক অমিত চক্রবর্তীকে। সেই গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। জরুরী ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছেন ধৃতরা। ইউপিএ মামলায় তাঁদের গ্রেফতারি এবং রিমান্ড প্রত্যাহার করার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনটি দাখিল করেন ধৃতদের আইনজীবী কপিল সিব্বল। কপিল সিব্বলকে যাবতীয় নথি প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
যে ধারায় নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিলের আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবী বলেন, ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স প্রায় ৭৫ বছর। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে এই সংক্রান্ত মামলা দ্রুত শুনানির আবেদন জানান সিব্বল।
সম্প্রতি নিউজক্লিক সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চিনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ ওঠে। অর্থের বিনিময়ে চিনের হয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছিল বলে দাবি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই অর্থ সাহায্য করা হয় বলে কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি। এরপরেই নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিউজক্লিকের অফিসে তল্লাশি চালানো হয় ।
গত ৩ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ অর্থের বিনিময়ে ভারতে চিনের হয়ে প্রচার চালানোর জন্য সংবাদমাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে যে চিনের কাছ থেকে এটি বড় অঙ্কের অর্থ সাহায্য পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। যা উদ্দশ্যে ছিল, দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করা। গত ১৩ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীর গ্রেফতারি এবং পরোপলিসে রিমান্ডের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দেয়।