• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত 

দিল্লি, ১৬ অক্টোবর –  অন্তঃসত্ত্বা মহিলার আবেদন সোমবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।  ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাতের আবেদনে অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট।  এদিন সুপ্রিম কোর্ট দিয়ালীর এইমস হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছে গর্ভবতী ওই মহিলাকে সব ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে , যাতে তিনি স্বাভাবিক সময়ে সন্তান প্রসব করতে পারেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন

দিল্লি, ১৬ অক্টোবর –  অন্তঃসত্ত্বা মহিলার আবেদন সোমবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।  ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাতের আবেদনে অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট।  এদিন সুপ্রিম কোর্ট দিয়ালীর এইমস হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছে গর্ভবতী ওই মহিলাকে সব ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে , যাতে তিনি স্বাভাবিক সময়ে সন্তান প্রসব করতে পারেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চে এদিন মামলাটির শুনানি হয়। রায় ঘোষণার আগে আদালতের তরফে জানানো হল, গর্ভস্থ শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ। তার মধ্যে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা নেই। এই অবস্থায় “আমরা তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ করব না।”
এদিন এই আবেদনের প্রেক্ষিতে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যেখানে ওই গর্ভস্থ ভ্রূণের সুস্থ জীবন পাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা আছে সেখানে আদালত এই মহিলার গর্ভপাতের অনুমতি দিতে পারে না।  তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে , ওই মহিলা চলিলে সন্তানের জন্মের পর শিশুটির দায়িত্ব সরকার নিতে পারে।

মামলাকারী ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার আগে দুই সন্তান রয়েছে। মানসিক অবসাদ-সহ ওই মহিলার নানা অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। আদালতকে তিনি জানান, তাঁর পক্ষে নতুন করে সন্তানপালন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদেরও বক্তব্য, মাতৃত্বকালীন অবসাদে ভুগছেন মহিলা। সেই সূত্রে গর্ভপাতের আবেদন জানান তিনি। মাঝে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের ভিন্ন বেঞ্চ মহিলার আবেদন বিবেচনা করে অনুমতিও দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
এইমস-এর চিকিৎসকদের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল মিহালৰ গর্ভস্থ ভ্রূণের কোন অস্বাভাবিকতা আছে কিনা।  মহিলা যদি পূর্ণ সময়ের জন্য গর্ভধারণ করেন তাহলে ওষুধের কোন প্রভাব তাঁর শরীরে পর্বে কিনা।  চিকিৎসকদের রিপোর্ট দেখে এদিন ওই মহিলার আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, গর্ভস্থ শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক রয়েছে। তার জীবিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। যার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, “কোন আদালত ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে।” সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “মহিলা ২৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এখন গর্ভপাতের অনুমতি দিলে মেডিক্যাল টার্মিনেশন প্রেগন্যান্সি অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করা হবে। যেহেতু ভ্রুণের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি এবং মা-ও সুস্থ রয়েছেন।” এর পরই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আমরা হৃৎস্পন্দন বন্ধ করব না।”

উল্লেখ্য, দেশের গর্ভপাত বিষয়ক আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও বিবাহিত মহিলা গর্ভপাত করাতে পারেন। তার পরে গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলা তাঁর মানসিক অবসাদ ও চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে গর্ভপাতের অনুমতি চান।  মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যায়।  শেষ পর্যন্ত সেই দাবি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত ।