মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, গর্ভস্থ শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক রয়েছে। তার জীবিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। যার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, “কোন আদালত ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে।” সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “মহিলা ২৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এখন গর্ভপাতের অনুমতি দিলে মেডিক্যাল টার্মিনেশন প্রেগন্যান্সি অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করা হবে। যেহেতু ভ্রুণের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি এবং মা-ও সুস্থ রয়েছেন।” এর পরই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আমরা হৃৎস্পন্দন বন্ধ করব না।”
উল্লেখ্য, দেশের গর্ভপাত বিষয়ক আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও বিবাহিত মহিলা গর্ভপাত করাতে পারেন। তার পরে গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলা তাঁর মানসিক অবসাদ ও চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে গর্ভপাতের অনুমতি চান। মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যায়। শেষ পর্যন্ত সেই দাবি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত ।