বেইরুট, ১৪ অক্টোবর – ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হল রয়টার্সের এক চিত্র সাংবাদিকের। লেবাননের দক্ষিণ অঞ্চলের ইজ়রায়েল-লেবানন সীমান্তে আলমা আল-শাব এলাকায় হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হামলায় নিহত হন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের চিত্র সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লা। আহত হন তায়ের আল-সুদানি এবং মাহের নাজ়ে নামে রয়টার্সের আরও দুই সাংবাদিক। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় আহত হন এএফপি এবং পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা-সহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা । ঘটনার জন্য ইজ়রায়েলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে লেবানন সরকার এবং সে দেশের সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লা। জানা গিয়েছে , ইজরায়েলের বাহিনী সাংবাদিকদের একটি গাড়িতে হামলা চালায়। ওই গাড়িতেই ছিলেন লেবাননের ফটোগ্রাফার ইসাম আবদুল্লা। তাঁর মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রয়টার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লাইভ সম্প্রচারের সময় বিস্ফোরণে তাদের সাংবাদিক ইসাম নিহত হয়েছেন। সে সময় ক্যামেরাটি একটি পাহাড়ের দিকে তাক করা ছিল। একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দের পরই বাতাস ধোঁয়ায় ভরে যেতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ভিডিয়ো ফুটেজে শোনা যায় আর্তনাদের শব্দ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। সে সময় ইসামের আশপাশে থাকা আরও কয়েক জন সাংবাদিকও এই ঘটনায় আহত হন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি শনিবার বলেন, ‘‘লেবাননের মাটিতে ইজ়রায়েল ধারাবাহিক রকেট হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনা তারই পরিণতি।’’ প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার নিন্দা করেন এবং আহত সাংবাদিকদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। অন্য দিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের প্রতিনিধি গিলার্দ এর্দান রয়টার্সের প্রতিনিধি মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা কখনও কোনও সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করি না। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।’’
লেবাননের ন্যাশনাল নিউস এজেন্সি সূত্রে জানা যায় , ইজরায়েলের স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে আল-ধাহিরা, আলমা আল-শাব এবং আশেপাশের এলাকায় বোমাবর্ষণ করে।
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া সীমান্ত থেকে হামাস গোষ্ঠী ইজ়রায়েলে হামলা চালানোর পর লেবাননের হেজবুল্লা বাহিনী তাদের সমর্থন করে। ইরানের মদতপুষ্ট ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে ‘প্রতীকী’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তার পরেই ধারাবাহিক ভাবে দক্ষিণ লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হানে ইজরায়েলিরা। ৩ হিজবুল্লাহ সদস্যকে হত্যা করে। পাল্টা হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও মর্টার শেল দিয়ে আক্রমণ চালায়।