ওয়াশিংটন, ১১ অক্টোবর– এই কনফারেন্সে কাশ্মীর বিষয়ে বিতর্ক চেয়েছিল পার্টির ব্রিমিংহাম হজ হিল কনস্টিটিউয়েন্সি লেবার পার্টি৷ কিন্ত্ত সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে হজ হিলের জনসংখ্যার প্রায় ৩৮ শতাংশ হল পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত৷ আসলে এই মোশনের স্বপক্ষে মাত্র ১৪৮০ সিএলপি ভোট পডে়ছিল৷ সেকারণে এই মোশন নিয়ে আর এগোতে চায়নি লেবার পার্টি৷ এনিয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি৷
তারপরেও কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাবের নিরিখে বলা হয়েছিল, সরকারি ক্ষেত্রে সংঘাত বন্ধ করতে লেবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করবে৷ এটা একমাত্র তখনই সম্ভব হবে যখন ভারত ও পাকিস্তান এক হয়ে কাশ্মীরের শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলবে৷যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানছে, সেটা যেখানেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কথা বলতে আমরা লজ্জা পাব না৷
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লেবার কনফারেন্স হয়েছিল৷ সেখানে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয় উত্থাপন করা হয়েছিল৷ এরপর এনিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়েছিল ভারতীয় দূতাবাস৷ এমনকী পরের বছরগুলিতে ভারতীয় দূতাবাস এই অনুষ্ঠান বয়কট করে৷ তবে এবার হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এই কনফারেন্সে গিয়েছিলেন৷
টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ফোরাম হিন্দু ফর লেবারের প্রতিষ্ঠাতা নীরজ পাটিল কাশ্মীর মোশন আনা হয়নি লেবার পার্টির কনফারেন্সে৷ তার মানে এটা প্রমাণিত হচ্ছে লেবার পার্টি ভারত বিরোধী নয়৷ সেই সঙ্গেই ২০১৯ সালে যে মোশন আনা হয়েছিল তাতে ভারত ক্ষুব্ধ হয়েছিল৷ ওই মোশনে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া হয়েছিল৷ তবে আমরা চাই ভারত ও পাকিস্তান তাদের নিজেদের সমস্য়া নিজেরাই মেটাক৷