প্রয়াগরাজ , ৮ অক্টোবর – ভারতীয় বায়ুসেনার নতুন পতাকার উদ্বোধন হল রবিবার। সাত দশকের পুরোনো পতাকার বদল ঘটল। রবিবার, ৮ অক্টোবর, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে ৯১তম ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস উদযাপনে বায়ুসেনার নতুন পতাকার উন্মোচন করেন এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী।
এদিন নতুন পতাকা উন্মোচনের পর, এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, “আমরা ভাতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করছি। আমরা যে পরিবর্তন দেখতে চাই, তার জন্য আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হয়। আমরা আমাদের বায়ুসেনা বাহিনীকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আসুন, শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং ঐক্যবদ্ধ ক্ষমতা ব্যবহার করি। ভারতীয় বায়ুসেনার মান আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করার জন্যই এই নতুন পতাকা তৈরি করা হয়েছে। পতাকার উপরে ডানদিকের কোণায় বায়ুসেনার প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বায়ুসেনার নতুন পতাকায় আইএএফ-এর প্রতীকও ব্যবহার করা হয়েছে। আইএএফ-এর প্রতীকে দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক চিহ্ন রয়েছে। তার নীচে রয়েছে একটি ডানা ছড়ানো ঈগলের ছবি। ঈগলটিকে ঘিরে হালকা নীল রঙের একটি বলয়ে লেখা আছে ‘ভারতীয় বায়ু সেনা’। তার নীচে দেবনাগরী ভাষায় লেখা আছে বায়ুসেনার নীতিবাক্য – ‘নভঃ স্পর্শম দীপ্তম’। অর্থাৎ, ‘সগৌরবে আকাশ ছোঁয়া’। এই নীতিবাক্যটি ভগবদ্গীতার ২৪ বম্বর অধ্যায় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
২০২১ সাল পর্যন্ত বায়ুসেনা দিবসের প্যারেড হত দিল্লির কাছে হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। গত বছর থেকে এই কুচকাওয়াজকে দিল্লির বাইরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। গত বছর চণ্ডীগড়ে এবং এই বছর বায়ুসেনা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হল উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে।
১৯৩২-এর ৮ অক্টোবর, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাহিনির পেশাদারি দক্ষতা এবং কৃতিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে, ১৯৪৫ সালের মার্চে ভারতীয় বায়ুসেনার আগে ‘রয়্যাল’ উপাধি যোগ করা হয়েছিল। বাহিনীর নাম হয়েছিল রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। এই বাহিনীর পতাকায় ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাক ছিল। ১৯৫০-এ ভারত প্রজাতন্ত্র হওয়ার পর, ‘রয়্যাল’ উপাধি বাদ দেয় আইএএফ। ওই বছরই বায়ুসেনার নতুন পতাকা গ্রহণ করা হয়েছিল। এই পতাকার নীচের ডানদিকে ভারতীয় জাতীয় পতাকা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ইউনিয়ন জ্যাক।