• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়াল , নিশ্চিহ্ন ১২টি গ্রাম 

কাবুল, ৮ অক্টোবর – ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেল।  শনিবার সকালে পর পর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৬.৩। রবিবার তালিবান সরকারের মুখপাত্র জানান , বিগত দুই দশকে আফগানিস্তানের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় শনিবার।  এই ভূমিকম্পে ৬ টি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।  

কাবুল, ৮ অক্টোবর – ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেল।  শনিবার সকালে পর পর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৬.৩। রবিবার তালিবান সরকারের মুখপাত্র জানান , বিগত দুই দশকে আফগানিস্তানের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় শনিবার।  এই ভূমিকম্পে ৬ টি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
 
আমেরিকার জিওলজিকাল সার্ভে জানিয়েছে , ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হেরাট প্রদেশের হেরাট শহরের ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।  এই সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনটি আফটার শকের তীব্রতা ছিল যথাক্রমে ৬.৩, ৫.৯এবং ৫.৫।  তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে দেশের তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল ওয়াহিদ জানিয়েছেন হেরাটে এই ভূমিকম্পে মৃতের যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে , তা ঠিক নয়। বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশি। ৬ টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন , ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে কয়েকশো মানুষ।    
অন্য দিকে, হেরাট প্রশাসন জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জ়িন্দা জান এবং ঘোরিয়াঁ জেলায়। এই দুই জেলার মোট ১২টি গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে আরও কত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক।
এদিকে, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় সব জায়গায় সাহায্যও পৌঁছয়নি। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী , শনিবার রাতে ধসে যাওয়া বাড়িগুলি থেকে সাধারণ মানুষদের বেলচা দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পরিবার-পরিজনদের সন্ধান করতে দেখা গিয়েছে। মাথার উপর ছাদ নেই, ঠান্ডার মধ্যে রাত কাটানোর জন্য অনেক পরিবারের কাছে কম্বলও নেই।
হেরাটে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন । ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন  ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হেরাট শহরে শয়ে শয়ে মানুষ তাদের বাড়ি এবং অফিসের বাইরে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, স্থানীয় সংস্থাগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে তালিবান সরকার। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, গৃহহীনদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করতে এবং তাদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে তাদের সমস্ত সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধনী নাগরিকদের কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছে তালিবানরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তালিবান সরকার বলেছে, “আমাদের ধনী নাগরিকদের বলছি, আমাদের দুর্দশাগ্রস্ত ভাইদের সম্ভাব্য যে কোনও সহযোগিতা করুন।”
হেরাটকে আফগানিস্তানের সংস্কৃতির রাজধানী বলে মনে করা হয়।  প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের বাস এই প্রদেশে।  বিশ্বে অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা আফগানিস্তান।  গতবছর জুন মাসে পাকটিকা প্রদেশে ভূমিকম্পে ১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।