কালিম্পং:- এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে গেলে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক প্রশান্তি আর নির্জনতা পাওয়া যাবে। এমনই এক অফবিট জায়গা রয়েছে কালিম্পংয়ে চিসাং এ। মেঘে ঢাকা চিসাং যেন পৃথিবীর বুকে এক চিলতে স্বর্গ। গরমের ছুটিতে ভিড় বাড়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি গ্রামগুলোয়। হাঁসফাঁস গরম থেকে দূরে থাকতে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ের গ্রামগুলোয় অনেকে ছুটি কাটাতে যান। এখন অফবিট ডেস্টিনেশনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এমন জায়গার সন্ধানে অনেকেই রয়েছেন, যেখানে গেলে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক প্রশান্তি আর নির্জনতা। এমনই এক অফবিট জায়গা রয়েছে কালিম্পংয়ে চিসাং। মালবাজার থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই চিসাং। তবে ডুর্য়াস হয়ে পৌঁছাতে হয় এই চিসাংয়ে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে চিসাংয়ের দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার। গাড়িতে যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। ডুর্য়াসের প্যারেন থেকে যেতে হয় চিসাংয়ে। কিন্তু চিসাং পৌঁছে ভুলে যাবেন সমস্ত ক্লান্তি। তোদে থেকেও যাওয়া যায় চিসাং। তেন্দু উপত্যকার কোলে লুকিয়ে এই চিসাং। যদিও চিসাং ভুটানের সীমান্ত খুব কাছেই। ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের কোলে নিরিবিলি গ্রাম চিসাং। সামনেই ভুটানের পাহাড়। এমনকী চিসাংয়ের হোমস্টেতে বসে দেখা যাবে ডোকলাম আর নাথুলার পাহাড়। তবে, পূর্ণিমার রাতেই আলোয় সেজে ওঠে চিসাং। চিসাংয়ের খুব কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে দাবেখোলা। এই দাবাখোলার এক পারে চিসাং আর অন্য পারে ভুটান। চিসাংয়ের জনসংখ্যা খুব কম। কিন্তু এখানকার অর্কিড ফুলের বাহার এবং অরগ্যানিক ফসলের চাষ চিসাংয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। এখানে মূলত এলাচের চাষ হয়। চিসাং থেকে ঘুরে নিতে পারে ডুয়ার্স ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম। চিসাং থেকে ঘুরে নিতে পারেন তোদে, তংতা, রংপো, দলগাঁও, ঝালং, বিন্দু, প্যারেন, বৌদ্ধগুম্ফা। এছাড়া চিসাংয়ের খুব কাছেই রয়েছে দলগাঁও ভিউ পয়েন্ট, তোদে বাজার ও তংতা বৌদ্ধগুম্ফা। পাখিদের ডাক ছাড়া আর কোনও কোলাহল শোনা যাবে না এখানে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশে এমনই আপনার চোখ ও মন জুড়িয়ে যাবে।