• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ নিউজক্লিক-এর  সাংবাদিকদ্বয় 

দিল্লি, ৬ অক্টোবর – নিউজক্লিক-এর  সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-র ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, ধৃতরা কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশের অখণ্ডতা সংক্রান্ত বিষয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চিনপন্থী প্রচার চালানোর অভিযোগে নিউজ়ক্লিক পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার অন্যতম প্রধান অমিত চক্রবর্তী শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন, দিল্লি পুলিশ অসত্য

দিল্লি, ৬ অক্টোবর – নিউজক্লিক-এর  সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-র ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, ধৃতরা কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশের অখণ্ডতা সংক্রান্ত বিষয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চিনপন্থী প্রচার চালানোর অভিযোগে নিউজ়ক্লিক পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার অন্যতম প্রধান অমিত চক্রবর্তী শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন, দিল্লি পুলিশ অসত্য অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে। তাঁদের আবেদন, এই মামলা খারিজ করা হোক।

ভারতের মানচিত্র থেকে কাশ্মীরকে বাদ দেওয়া এবং অরুণাচল প্রদেশকে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো নিয়ে ইমেল আদানপ্রদানে প্রবীর যুক্ত ছিলেন বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক হরদীপ কউর বৃহস্পতিবার এই মামলায় ধৃত প্রবীর এবং অমিতকে পুলিশি আপত্তি সত্ত্বেও এফআইআরের প্রতিলিপি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে ধৃত দুই সাংবাদিকের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
প্রবীর এবং অমিতকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতারের পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’-এ মামলা করে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ তোলা হয়, চিনপন্থী প্রচার চালানোয় যুক্ত ওই পোর্টালটি। ধৃতদের হেফাজতে চাওয়া হয়।  আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে পুলিশ দাবি করে, আমেরিকান ধনকুবের এবং তাঁর শাংহাইয়ের সংস্থার কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে এই সংক্রান্ত ইমেল চালাচালি করেছিলেন প্রবীর। ধৃত দু’জনেরই ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। ওই সংস্থার সাংবাদিক অভিসার শর্মাকেও দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের আরও অভিযোগ, বিদেশ থেকে আসা টাকার জোরে কৃষক বিক্ষোভে ইন্ধন দিয়ে ভারতে অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন ধৃতেরা। এমনকি, একটি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৯-এর নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্রেও প্রবীরের জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
গ্রেফতারির কারণ ইতিমধ্যেই ধৃতদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়ে বিশেষ সরকারি আইনজীবীর দাবি করেন, বিদেশি অনুদানের নামে ১১৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। যদিও বিচারক কউর তাঁর নির্দেশ বহাল রেখে জানান, ধৃতদের এফআইআরের কপি দিতে হবে দিল্লি পুলিশকে। প্রসঙ্গত, আর্থিক তছরুপ এবং চিনকে সমর্থন করে এমন কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে ‘নিউজ়ক্লিক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি।
 

সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র মতো আইনের ধারায় মামলা করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। ওই ধারায় সাধারণত বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি এবং দেশ বিরোধী নাশকতা, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সাংবাদিক সংগঠনগুলি এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের হস্তক্ষেপ দাবি করে।