• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

“ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় কানাডা ”, সুর নরম ট্রুডোর  

টরেন্টো, ২৯ সেপ্টেম্বর –   ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ সত্ত্বেও কানাডা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই একথা বলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত একটি ক্রমবর্ধমান

টরেন্টো, ২৯ সেপ্টেম্বর –   ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ সত্ত্বেও কানাডা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই একথা বলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরই পাশাপাশি ট্রুডো বলেন যে, খালিস্তানি চরমপন্থী নেতার হত্যা নিয়ে যাতে ওটাওয়া সব তথ্য পেতে পারে তার জন্য দিল্লি তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করুক।  
বিশ্বজুড়ে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, কানাডা এবং বন্ধু দেশগুলি  ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। বৃহস্পতিবার মন্ট্রিলে এক সংবাদিক সম্মেলনে ট্রুডো জানান, তিনি মনে করেন কানাডা এবং তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলি বিশ্বমঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গঠনমূলক সম্পর্কে থাকতে আগ্রহী।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক সদস্য। আমরা আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল উপস্থাপন করেছি, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়েও আমরা খুবই আগ্রহী। তবে আইনের শাসনে চলা দেশ হিসাবে, এই বিষয়েও জোর দিতে হবে যাতে এই মামলার সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ভারত কানাডাকে সাহায্য করে।’

ট্রুডো আরও জানিয়েছেন যে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আশ্বাস পেয়েছেন বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাঁদের বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে প্রকাশ্যে করা অভিযোগ উত্থাপন করবেন।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে আমেরিকা আমাদের সমর্থন দিয়েছে। ভারত সরকারের এজেন্টরা কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যা করেছে এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা অপরিহার্য।’ ট্রুডো দাবি করেন, ‘সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ, যারা আইনের শাসনকে সম্মান করে, তাদের এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আমরা ভারত সরকারের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখে আইনের শাসনের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করে চিন্তাশীল, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার হাউস অফ কমনসে বলেছিলেন, কানাডার নিরাপত্তা সংস্থা জানতে পেরেছে, নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারতীয় সরকারি এজেন্টের যোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি জি ২০ সম্মেলনের সময় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও কানাডার গভীর উদ্বেগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।  ট্রুডো তখনই ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন এই বিষয়টি নিয়ে কানাডাকে সহযোগিতা করার জন্য। তবে ভারত এসব অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘প্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে। তারপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে ট্রুডোর মুখেই দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার কথাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।