• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

শহরের হাসপাতালগুলির জন্য চালু হল মেডিকেল সিকিউরিটি হেল্পলাইন নম্বর

টোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন ডাক্তার থেকে রোগীর পরিবার।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সকল দাবি মেনে নেয়ার পর তাদের আনন্দের উচ্ছ্বাস। (Photo: IANS)

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলােচনা-সভার পর সােমবার রাত থেকেই শহরের হাসপাতালগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। জুনিয়র ডাক্তারদের ১২ দফা দাবিই মেনে নেওয়া হবে জানানাের পর থেকেই খুশির হাওয়া চিকিৎসক মহলে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার নবান্নে পুলিশ কর্তা ও সরকারের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলােচনার মুখ্য বিষয়বস্তু ছিল— হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। আলােচনা-সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা। শহরের মূল ৫টি সরকারি হাসপাতাল এবং অপর ২টি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানাে হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে একটি পাের্টাল খােলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। সেখানে হাসপাতাল বিষয়ক অভাব-অভিযােগ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হতে পারে। তবে তার আগেই মঙ্গলবার থেকে কলকাতা শহরের হাসপাতালগুলির জন্য চালু হয়ে গিয়েছে একটি টোল ফ্রি নম্বর। নিরাপত্তা বিষয়ক যাবতীয় অভিযােগ এই নম্বরে জানানাে যাবে। মেডিকেল সিকিউরিটি হেল্প লাইন নম্বরটি হল ১৮০০৩৪৫৮২৪৬।

তবে শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের জন্যই সীমাবদ্ধ নয় এই হেল্পলাইন নম্বর। এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে হাসপাতাল বিষয়ক অভিযােগ জানাতে পারবেন ডাক্তার, ইনটার্ন, রােগী ও রােগীর পরিজন, চিকিৎসা সহায়ক কর্মচারী সহ যে কেউ। খবর পাওয়া মাত্রই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

এছাড়া কলকাতা পুলিশ অধীনস্থ হাসপাতালগুলির জন্য নােডাল অফিসার নিযুক্ত হলেন ডিসি (কমব্যাট) নভেন্দ্র সিং পাল। তাঁর নির্দেশেই নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ পরিচালিত হবে। তবে তাঁকে রিপাের্ট করবেন ছ’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক।

এনআরএস ছাড়াও আরজিকর, মেডিকেল কলেজ, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, এসএসকেএম, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল ও বি সি রায় মেমােরিয়াল হসপিটাল ফর চিলড্রেনে থাকবেন এই ছ’জন অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার। হাসপাতালের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে থাকবে প্যানিক বাটন, যা বাজালেই সরাসরি স্থানীয় থানা এবং হাসপাতালের পুলিশ আউটপােস্টে শব্দ শােনা যাবে। এনআরএস এবং এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছে এই প্যানিক বাটন সিস্টেম। বাকি হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই এই প্যানিক বাটন লাগানাের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

প্রাথমিক কাজ হিসাবে হাসপাতালগুলির সিসিটিভি গুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রয়ােজনে লাগানাে হবে অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলি এই সিসি ক্যামরা লাগানাে হবে। যার ফুটেজ সরাসরি হাসপাতালের পুলিশ আউট পােস্ট এবং স্থানীয় থানায় দেখা যাবে। প্রতি দু’ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা অন্তর আউটপােস্টে থাকা অ্যাসেসমেন্ট অফিসার শীর্ষ আধিকারিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক যাবতীয় তথ্য জানাবেন।

এছাড়া গণ্ডগােল সৃষ্টি করতে পারে হাসপাতাল নিকটস্থ এমন এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট ডিভিশন। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামাগত উন্নয়ন অন্যতম বিচার্য বিষয়। নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করবেন সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক।