দিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর – ভারত-কানাডা পারস্পরিক সম্পর্ক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন ট্রুডো মন্ত্রিসভার সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার। এবার ভারতে এলেন কানাডার ডেপুটি আর্মি চিফ মেজর জেনারেল পিটার স্কট। মঙ্গলবারই নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছন তিনি। দিল্লিতে পা রেখেই এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন কানাডার ডেপুটি আর্মি চিফ মেজর জেনারেল। তিনি বলেন, ‘ভারত-কানাডা সম্পর্কে উন্নতির লক্ষ্য নিয়েই এই সফর। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি চাই আমরা।’
ভারত -কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের আবহে তাঁর এই ভারত সফর ঘিরে ফের দানা বাঁধছে নানা জল্পনা। এই দুই দেশের মধ্যে যখন অশান্তির বাতাবরণ তৈরী হয় তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায়। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও কানাডা দুই দেশের বিষয়েই গভীরভাবে চিন্তা করে’, মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি। তিনি এদিন বলেন, ‘দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমরা দুই দেশের কোথায় ভাবি এবং উভয়ের ব্যাপারী যত্নশীল।’ নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কানাডার ডেপুটি আর্মি চিফ মেজর জেনারেল পিটার স্কট বলেন, ‘ভারত-কানাডা সম্পর্কে উন্নতি আমাদের লক্ষ্য। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি চাই আমরা।’ তিনি বলেন, ‘নিজ্জর খুনের নেপথ্যে ভারতীয় গুপ্তচরদের হাত আছে।’
খালিস্তানি জঙ্গি নেতা নিজ্জরের হত্যা এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে ভারতের শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করে কানাডা। তার জবাবে কানাডার এক শীর্ষ আধিকারিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় নয়াদিল্লি। এই মর্মে এদিন ডেপুটি আর্মি চিফ মেজর জেনারেল পিটার স্কট বলেন, ‘গোটা বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে।’
প্রসঙ্গত বলা যায়, গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রুডোর এই মন্তব্যের পরই দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে.
এদিকে শ্রীলঙ্কা, রাশিয়ার মতো দেশগুলি কানাডাকে ভর্ৎসনা করে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। কানাডার জোট সরকারও এই ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত। ট্রুডোর সমালোচনা করে চর্চাও চলছে।। এই পরিস্থিতিতে ভারতে ডেপুটি আর্মি চিফকে পাঠানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেছেন, ‘যে অভিযোগ উঠেছে তার যথাযথ তদন্ত করা হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই তদন্ত জটিলতা তৈরি করছে।’ নাম না করে হরদীপ সিং নিজ্জরকে কানাডার নাগরিক বলে উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্লেয়ার। তাঁর সংযোজন, ‘কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিক খুন হওয়া দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। ফলে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, তা উদ্বেগের বিষয় হবে।’