• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হল সি-২৯৫ বিমান 

গাজিয়াবাদ, ২৫ সেপ্টেম্বর –  ভারতীয় বায়ুসেনার মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। প্রথম সি-২৯৫ সামরিক পরিবহণ বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ার ফোর্স স্টেশনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে সি-২৯৫ বিমান তুলে দেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর গুজরাটের বরোদার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে স্পেন থেকে প্রথম সি-২৯৫ বিমানটি এসে পৌঁছেছিল। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ‘সর্বধর্ম পূজা’-তেও

গাজিয়াবাদ, ২৫ সেপ্টেম্বর –  ভারতীয় বায়ুসেনার মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। প্রথম সি-২৯৫ সামরিক পরিবহণ বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ার ফোর্স স্টেশনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে সি-২৯৫ বিমান তুলে দেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর গুজরাটের বরোদার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে স্পেন থেকে প্রথম সি-২৯৫ বিমানটি এসে পৌঁছেছিল। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ‘সর্বধর্ম পূজা’-তেও অংশ নেন রাজনাথ সিং। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, সামরিক পরিবহণ বিমান সি-২৯ লাদাখ, সিকিম কিংবা অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম ঘাঁটিগুলিতে এবার থেকে সহজেই অস্ত্র এবং রসদ পৌঁছে দিতে পারবে। চিন আগ্রাসনের আশঙ্কা দেখা দিলেই প্রয়োজনীয় সেনাঘাঁটিগুলিতে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে বাড়তি বাহিনী। পাশাপাশি আহত বা অসুস্থ সেনাদের ফিরিয়ে আনা, এমনকি প্রয়োজনে এই বিমান শত্রুপক্ষের উপর নজরদারির কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। একসঙ্গে ৭১ জন সেনা বা প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম-সহ ৫০ জন প্যারাট্রুপার কমান্ডোকে নিয়ে পাড়ি দিতে পারে সি-২৯৫।

প্রথম সি-২৯৫ বিমানটি বায়ুসেনার ১১ নম্বর স্কোয়াড্রনে অন্তর্ভুক্ত করা হল। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাচীনতম স্কোয়াড্রনগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এটি রয়েছে ভাদোদরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। 
সি-২৯৫ বিমানের নির্মাতা সংস্থা ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’ জানিয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ে ভারতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তৈরি হবে এই বিমান। সহযোগী সংস্থা হিসাবে থাকবে ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের বরোদায় হবে বিমান নির্মাণের কারখানা। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ৫৬টি সি-২৯৫ বিমানের জন্য এয়ারবাসের সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে এই বিমানগুলির উৎপাদন শুরু হয়েছে।