কলকাতা: টলিউড অভিনেত্রীর সায়ন্তিকাকে বেশ কিছু সময় ধরে কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। বরং সে তুলনায় রাজনীতির সভায় বেশি দেখা গেছে তাঁকে। তবে তিনি অভিনয় ছেড়ে শুধু রাজনীতিতে চেষ্টা করছেন না তার প্রমাণ ‘ছায়াবাজ’ নামে সিনেমাটি। তবে এই ছবিও যে শেষে কি দাঁড়াবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন স্বয়ং ছবির প্রযোজকই।
এই ছবির শ্যুটিংয়ের জন্যই গত মাসের শেষে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোরিওগ্রাফারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে শ্যুটিং শেষ না করেই ভারতে ফিরে আসেন অভিনেত্রী। আর তারপরেই ছবির নায়ক জায়েদ খানকে নিয়ে অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে ছায়াবাজের প্রযোজক যা বললেন তা বেশ চাঞ্চল্যকর ।
সায়ন্তিকা অভিযোগ করেছিলেন, ছবির কোরিওগ্রাফার মাইকেল তাঁর গায়ে হাত দিয়ে নাচ শেখানোর চেষ্টা করছিলেন। তাতেই আপত্তি করেন নায়িকা, মুখে বলেই স্টেপ বোঝাতে বলেন তিনি। সেই নিয়ে তখনই ঝামেলা হয় দুপক্ষের মধ্যে। সায়ন্তিকার দাবি, সেই সময় প্রযোজক মণিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। অব্যবস্থার অভিযোগে মাত্র ৮ দিনের মাথাতেই শ্যুটিং শেষ না করে দেশে ফিরে আসেন নায়িকা।
এতেই বেজায় খেপেছেন প্রযোজক মণিরুল। সায়ন্তিকা এবং জায়েদকে জড়িয়ে কুইঙ্গিত করেছেন তিনি। মণিরুলের দাবি, পোশাক পরিবর্তন করার নাম করে একটি হোটেলের রুমে একত্রে ঘণ্টা চারেক কাটিয়ে আসেন নায়ক-নায়িকা। তাঁর দাবি, ‘ড্রেস চেঞ্জ করতে ৪ ঘণ্টা লাগে, এমন কোথাও দেখিনি!’
যদিও এ ব্যাপারে সায়ন্তিকা কিছু না বলেও মুখ খুলেছেন ছবির নায়ক জায়েদ। কারও নাম না করেই তাঁর দাবি, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন কেউ কেউ। মণিরুলের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের অভিযোগ এনে তিনি জানিয়েছেন, শ্যুটিংয়ে কস্টিউমের কিছু সমস্যা ছিল। তাই পোশাক পরিবর্তনের জন্য হোটেলে যাওয়া হয়েছিল। চামড়া তৈরি কয়েকটি পোশাক প্রয়োজন থাকলেও হোটেলে গিয়ে তা পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন প্রযোজকের সায়ন্তিকাকে পেমেন্ট পাঠানোর কথা থাকলেও তিনি তা পাঠাননি। ‘আসল ঘটনা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুলে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন,’ দাবি নায়কের।