• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অবশেষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ কেন্দ্রের  

দিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর – সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়বস্তু জানিয়ে দিল মোদি সরকার। বুধবার রাতে লোকসভার বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সংবিধান সভার দিন থেকে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের সংসদীয় ব্যবস্থার যে যাত্রা পথ, তার সাফল্য, অভিজ্ঞতা, অতীত ও  শিক্ষা— এই বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, সংসদের

দিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর – সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়বস্তু জানিয়ে দিল মোদি সরকার। বুধবার রাতে লোকসভার বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সংবিধান সভার দিন থেকে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের সংসদীয় ব্যবস্থার যে যাত্রা পথ, তার সাফল্য, অভিজ্ঞতা, অতীত ও  শিক্ষা— এই বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিতর্কিত কোনও বিল আনা হচ্ছে না। এক দেশ, এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি , দেশের নামবদল, যে যে বিল নিয়ে এতদিন ধরে জল্পনা-কল্পনা চলছিল বিভিন্ন মহলে, তার কোনওটিই সংসদের ওই বিশেষ অধিবেশনে পেশ হবে না।
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছরের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে ওই বিশেষ অধিবেশনে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে সংসদ ভবনের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হবে।  এই বিশেষ অধিবেশনেই পুরনো সংসদকে বিদায় জানিয়ে নতুন সংসদে প্রবেশ করবে সরকার।
তবে এই আলোচনার পাশাপাশি বিশেষ ওই অধিবেশনে চারটি বিল পেশ করবে সরকার। সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করে জানায়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং কেন্দ্রের এক মন্ত্রী। সেটিকেই বিল আকারে আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পোস্ট অফিস বিল, অ্যাডভোকেট সংশোধনী বিল এবং প্রেস ও রেজিস্ট্রেশন বিল পেশ হবে।

সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে আগামী  ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। বিশেষ অধিবেশন শুরু আগের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নতুন সংসদের গজদ্বারে জাতীয় পতাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই দিন আবার  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। প্রতি বারের মতোই এ বারও লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ধুমধাম করে পালনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন ঘিরে নানা ধরনের জল্পনা ছিল। সরকার এই বিশেষ অধিবেশনে দেশের নামবদলের প্রস্তাব আনতে পারে এমনটাও মনে করছিলেন অনেকে । কারও কারও আবার বক্তব্য ছিল, এক দেশ এক নির্বাচন বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিতর্কিত বিল আনা হতে পারে। কোনও কোনও মহল আবার বলছিল, ওবিসি সংরক্ষণ বা মহিলা সংরক্ষণ বিল আনতে পারে কেন্দ্র। তবে, শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটালো মোদি সরকার।

তবে সংসদের এই  বিশেষ অধিবেশনে সব সাংসদকে যোগ দিতে হবে বলে হুইপ জারি করেছে বিজেপি। আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। ওই পাঁচদিনই দলের সব সাংসদকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে গেরুয়া শিবির, যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত এজেন্ডায় বিতর্কিত কোনও বিল নেই। সরকার যে চার বিল পেশ করার কথা বলেছে , তাতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ছাড়া বাকি বিলগুলিতে আপত্তিরও কিছু নেই বিরোধীদের। তাহলে কেন দলের সব সাংসদকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।  কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন,”আমি নিশ্চিত আসল বিলের গ্রেনেড আস্তিনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে । শেষ মুহূর্তে বের করা হবে। পর্দার পিছনে অন্য কোন কিছু নিশ্চিত আছে।”