মঙ্গলবারের ওই শুনানিতে মেক্সিকান রাজনীতিবিদদের দেহাবশেষ দুটি দেখানো হয়। একজন মেক্সিকান সাংবাদিক এবং ইউফোলজিস্ট জেইম মাউসান এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। ইউএফও নিয়ে কৌতূহলী ব্যক্তি জেইম মাউসান দাবি করেছেন, পৃথিবীর কোনো প্রাণীর সঙ্গে মিল নেই দেহাবশেষগুলোর। মানুষের পার্থিব বিবর্তনেরও কোনো অংশ নয়।
এগুলো এমন প্রাণীও নয়, যাদের ইউএফও-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে। এগুলো একটি খনিতে পাওয়া গিয়েছে এবং পরে জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে। তবে তার এসব দাবির এখনো প্রমাণ করা যায়নি। প্রদর্শনীর জন্য এই মৃতদেহগুলোকে মেক্সিকোর সংসদ কক্ষে রাখা হয়।
পেরুর কাসকো থেকে এই দেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। শুনানিতে আরো বলা হয়, মহাবিশ্বে আমরা একা নই এবং আপনারা ভিন্ন অবয়বের দেহাবশেষ দুটি দেখতে পাচ্ছেন। ছোট দেহাবশেষ দুটি একটি বড় বক্সে রাখা হয়েছিল। যাদের প্রতিটি হাতে তিনটি করে আঙুল এবং মাথা লম্বা ও পেছনের অংশ ডিম্বাকৃতির। ঠিক দেখতে কাল্পনিক এলিয়েনের মতো।
মেক্সিকান নৌবাহিনীর সায়েন্টিফিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথের ডিরেক্টর হোসে দে জেসুস জালস বেনিটেজ বলেছেন, দেহাবশেষগুলোর এক্স-রে, ৩-ডি পুনর্গঠন এবং ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি এই দেহগুলোর সঙ্গে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই।’
মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি (ইউএনএএম) বৃহস্পতিবার ২০১৭ সালে প্রথম জারি করা একটি বিবৃতির পুনঃপ্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অব ম্যাস স্পেকট্রোমেট্রি উইথ অ্যাক্সিলারেটর (এলইএমএ) শুধু নমুনার বয়স নির্ধারণের উদ্দেশ্যে পরীক্ষা করেছিল। কিন্তু কোনোভাবেই আমরা উক্ত নমুনার উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে পারিনি।