নয়ডা, ১১ সেপ্টেম্বর – দিনের পর দিন মায়ের উপর নৃশংস অত্যাচার চালাতে দেখেছে নিজের বাবাকে। সহ্য করতে না পেরে ‘বদলা’ নিল ছেলে। বাবাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করাই শুধু নয়, খুনের দৃশ্য দেখে ফেলায় দাদুকেও একইভাবে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল বছর ২১-এর এই যুবক। ভয়ংকর এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় । অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে। পারিবারিক অশান্তির জেরে বিক্রমজিৎ এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকতেন। তাঁদের মধ্যে আইনত বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। তাঁদের ছেলে অভিযুক্ত যুবকের নাম জ্যাসমিন। ওইদিন বাবা বিক্রমজিৎ রাও এবং দাদু রামকুমার রাওকে হত্যা করেন তিনি। জ্যাসমিনের দাবি, মায়ের উপর বাবার অত্যাচারের কথা গোটা পরিবার জানত। এরজন্যই সন্তানের হাত ধরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
ঘটনার দিন রাতে গ্রেটার নয়ডার দানকাউর এলাকার বাল্লুখেরা গ্রামে নির্মীয়মাণ ফিল্ম স্টুডিওতে ছিলেন বিক্রমজিৎ এবং রামকুমার। গভীর রাতে সেখানে হামলা চালায় অভিযুক্ত জ্যাসমিন। কুড়ুল দিয়ে গলায়, মুখে, মাথায় কোপ মেরে ঘুমন্ত বিক্রমজিৎকে হত্যা করেন তিনি। ছেলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় রামকুমারের। তখন তাঁকেও একইভাবে হত্যা করেন ওই যুবক, কারণ নাতিকে চিনে ফেলেছিলেন দাদু রামকুমার ।
গ্রেটার নয়ডার পুলিশকর্তা অশোক কুমারের দাবি, এর পর পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান জ্যাসমিন। জামা ছিটকে পড়া রক্ত ধুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েও পড়েন তিনি । যদিও পরদিন ওই ফিল্ম স্টুডিও থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হতেই শোরগোল শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় জ্যাসমিনকে। ঘাতক কুড়ুলটিকেও উদ্ধার করা হয় । পুলিশি জেরায় জোড়া খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত যুবক।