• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বিপর্যস্ত মরক্কোর গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন, জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা 

রাবাত, ১১ সেপ্টেম্বর– ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ মরক্কো। ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে গোটা একটি গ্রাম। মৃত্যু মিছিল বলছে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, ২,৪৩৬। সোমবার পর্যন্ত ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটিতে আহতের সংখ্যাও বেড়ে পৌঁছেছে আড়াই হাজারেরও বেশি। দেশটির যে স্থানে ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে সেই এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তার আশেপাশের অনেক অঞ্চলেই উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেনি এখনো। মৃত্যুর মিছিল দেখার পর ৩

রাবাত, ১১ সেপ্টেম্বর– ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ মরক্কো। ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে গোটা একটি গ্রাম। মৃত্যু মিছিল বলছে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, ২,৪৩৬। সোমবার পর্যন্ত ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটিতে আহতের সংখ্যাও বেড়ে পৌঁছেছে আড়াই হাজারেরও বেশি। দেশটির যে স্থানে ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে সেই এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তার আশেপাশের অনেক অঞ্চলেই উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেনি এখনো। মৃত্যুর মিছিল দেখার পর ৩ দিনের জাতীয় শোক দিবস পালনের ঘোষণা করেছে মরক্কো সরকার।

বিবিসির একজন সাংবাদিক মরক্কোর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মরক্কোর অ্যাটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের প্রথম যে বাসিন্দার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়, তিনি তাদের গ্রামের পরিস্থিতির একটা আনুমানিক ধারণা দিচ্ছিলেন আমাদের।  তিনি বলেছেন, এই গ্রামের সব মানুষ হয় হাসপাতালে, আর না হয় মৃত। ধুলো-পাথরের ধ্বংসস্তূপ পার করে ওপরের দিকে উঠতে উঠতে আমরাও বুঝতে পারছিলাম কেন গ্রামের কেউই নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি।

ইট ও পাথরের তৈরি গ্রামের পুরনো ধাঁচের বাড়িগুলো কোনোভাবেই এই মাত্রার ভূমিকম্প সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না। গ্রামের ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা হাসান বলেন, তারা (নিখোঁজরা) সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের হাতে নিজেদের বাঁচানোর সময়ও ছিল না।

অ্যাটলাস পর্বতমালার মত মরক্কোর আরো অনেক অঞ্চলেই জরুরি সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসী হাত দিয়ে বা তাদের কাছে থাকা বেলচা, শাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধার করছেন।