মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বিরোধী দল লেবার পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল শুধু ব্রিটেনে নয়, ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ কাউন্সিল। যার শতাধিক কাউন্সিলর রয়েছেন। তারা ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত বাজেট পাচ্ছে না বার্মিংহাম কাউন্সিল। এতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আর শহরের ব্যয় পরিচালনা করতে পারছে না। এ কারণে লোকাল গভর্নমেন্ট ফিন্যান্স অ্যাক্ট, ১৯৮৮-এর অধীনে শহরে ১১৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
২০১২ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নারীকর্মীদের ‘সমবেতন’ পরিশোধের পক্ষে রায় দেয়। মূল ঘটনা হলো, বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলে যেসব কর্মী কাজ করতেন, তাদের মধ্যে পুরুষদের বোনাস দেওয়া হলেও নারীদের দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নারীরা আদালতের দ্বারস্থ হলে তাদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়। বার্মিংহাম কাউন্সিল গত জুনে বলেছিল, আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর গত একযুগে নারীকর্মীদের ১০০ কোটি ১০ লাখ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করা হয়। তারপর এখনো অনেক অর্থ বাকি রয়ে গেছে। ঐ সময় কাউন্সিল জানিয়েছিল, তারা এই অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু এসব অর্থ পরিশোধে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
ব্রিটেনের স্থানীয় সরকার বা সিটি কাউন্সিলগুলো মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়ন, পার্কিং সার্ভিস ও ট্যাক্স থেকে অর্থ আয় করে থাকে। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দপ্তর জানিয়েছে, স্থানীয় যেসব কাউন্সিল আছেন, তাদের নিজেদের বাজেট নিজেদেরই জোগাতে হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, এ অর্থবছরে কাউন্সিলদের বাড়তি ৫৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলকে কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না। কারণ সিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা কাউন্সিলের ফান্ড নিয়ে এদিক-ওদিক করেছেন।