• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাশিয়া-ইউক্রেনই প্রথম, মোদি সরকারের নীতিকে সমর্থন মনোমোহনের

দিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর– গত সাড়ে ৯ বছরে যেটা কখনো দেখা যায়নি সেটাই দেখা গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে। কথা হচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনকে নিয়ে। এই সাড়ে ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি এমন হাজারো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, একযোগে যার সমালোচনা শোনা গিয়েছে বিরোধীদের মুখে। নোট বাতিল থেকে কৃষি আইন, একাধিক ইস্যুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও তাঁর সমালোচনা

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং (File Photo: IANS)

দিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর– গত সাড়ে ৯ বছরে যেটা কখনো দেখা যায়নি সেটাই দেখা গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে। কথা হচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনকে নিয়ে। এই সাড়ে ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি এমন হাজারো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, একযোগে যার সমালোচনা শোনা গিয়েছে বিরোধীদের মুখে। নোট বাতিল থেকে কৃষি আইন, একাধিক ইস্যুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও তাঁর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সাড়ে ৯ বছরে সম্ভবত এই প্রথমবার মোদি সরকারের একটি নীতির প্রশংসা শোনা গেল মনোমোহনের মুখে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রথমবার মোদির প্রশংসা করে মনমোহনের মন্তব্য,  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে সেটা একেবারে সঠিক। যুদ্ধ যেভাবে কোনও পক্ষ না নিয়ে ভারত নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটারই প্রশংসা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “বিশ্বের যে কোনও দুটি শক্তি যখন একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তখন অন্যান্য দেশগুলির পক্ষে খুব জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। কার পক্ষ নেবে, ঠিক করাটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত যে নিরপেক্ষ থেকেছে, এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি শান্তির পক্ষে বার্তা দিয়েছে, সেটা একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

দেশের মাটিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন নিয়েও খুশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলছেন,”আমি খুশি যে আমার জীবদ্দশাতেই এই সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ পেল ভারত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আমরা স্বাগত জানানোর সুযোগ পেলাম।” তবে তিনি মনে করিয়েছেন, এই সুযোগ ভারতের পাওয়ারই ছিল। এতে সরকারের বাড়তি কোনও কৃতিত্ব নেই। পাশাপাশি, সরকার যেভাবে বিদেশনীতিকে ভোট রাজনীতিতে ব্যবহারের চেষ্টা করছে, সেটারও বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “আমার আমলে বিদেশনীতিকে এভাবে ভোট রাজনীতিতে ব্যবহার করা হত না। সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য অবশ্যই ইস্যু হতে পারে। কিন্তু সবসময় বিদেশ নীতিকে ভোট রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।”