• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অবসাদে ভুগত কসবার ছাত্র , দাবি শিশু সুরক্ষা কমিশনের 

কলকাতা, ৫ সেপ্টেম্বর –  কসবার স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা । কমিশনের তরফে জানানো হয়, ওই ছাত্র অত্যন্ত অবসাদগ্রস্থ ছিল। ছোটবেলায় মা ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে একাই বড় হয়েছে সে। সেই কষ্ট জমা ছিল তার মনের ভিতর। গত সোমবার কসবা রথতলার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ৬তলা থেকে পড়ে

কলকাতা, ৫ সেপ্টেম্বর –  কসবার স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা । কমিশনের তরফে জানানো হয়, ওই ছাত্র অত্যন্ত অবসাদগ্রস্থ ছিল। ছোটবেলায় মা ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে একাই বড় হয়েছে সে। সেই কষ্ট জমা ছিল তার মনের ভিতর।

গত সোমবার কসবা রথতলার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ৬তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দশম শ্রেণির পড়ুয়া শেখ শানের। কীভাবে তার মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতের পরিবারের তরফে যদিও স্কুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শানের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর ছেলের উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। স্কুল প্রজেক্ট নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তার ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই ছাত্র । যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারপর স্কুলেরই প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল ও আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শানের বাবা।

কিন্তু ১৬ বছরের ওই ছাত্রের পরিবার আত্মহত্যার তত্ত্ব না মানলেও শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই কিশোর অত্যন্ত মানসিক চাপে ছিল, দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদগ্রস্থ ছিল সে। এমনকী, খুব ছোটবেলায় তার মা তাকে ছেড়ে চলে যান, ঠাকুমা বড় করেন তাকে। সেই কারণেও সে মনোকষ্টে ভুগত, ভিতরে চাপা রাগ, অভিমান ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। মায়ের মমতা, স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিল সে। বড় হওয়ার পুরো সময়টা বাড়িতে সবাইকে রাগ করে দেখে সে বিষয়টা স্বাভাবিক বলেই মনে করত, ফলে তার ভিতরেও অনেক ক্ষোভ, চাপা রাগ জমেছিল।

মৃতের বাবা দাবি করেছিলেন, ছাদ থেকে পড়ার পরেও তাঁর ছেলের শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি। অত উঁচু থেকে পড়ার পরেও হাড় না ভাঙা কীভাবে সম্ভব, সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন তিনি। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভবা নয় বলে পুলিশ জানায় ।