• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে জল্পনা, কতটা প্রস্তুত নতুন সাংসদরা ?  

কলকাতা, ৩ সেপ্টেম্বর – সেপ্টেম্বরে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এই বিশেষ অধিবেশন।  গত বৃহস্পতিবার হঠাতই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকায় জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ এই অধিবেশনের কর্মসূচী কী, , কোন বিল পেশ করা হবে কিনা ,সেসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।  জল্পনামাফিক   বিভিন্ন দলের সাংসদরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন

কলকাতা, ৩ সেপ্টেম্বর – সেপ্টেম্বরে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এই বিশেষ অধিবেশন।  গত বৃহস্পতিবার হঠাতই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকায় জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ এই অধিবেশনের কর্মসূচী কী, , কোন বিল পেশ করা হবে কিনা ,সেসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।  জল্পনামাফিক   বিভিন্ন দলের সাংসদরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন , তখন এই বিশেষ অধিবেশন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তৃণমূলের টিকিটে সদ্য রাজ্যসভায় যাওয়া নতুন সাংসদরা। সম্প্রতি বাংলা থেকে সাতটি রাজ্যসভা আসনে তৃণমূলের ছ’জন গিয়েছেন সংসদের উচ্চকক্ষে। তাঁদের মধ্যে তিন জনই নতুন। সেই নতুন মুখদের মধ্যে রয়েছেন সামিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ চিক বরাইক। যাঁরা শুধুমাত্র শপথ নিয়েছেন। কিন্তু সংসদের অধিবেশন নিয়ে তাঁদের কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। কারণ, সংসদের বাদল অধিবেশন শেষের পর তাঁদের শপথ অনুষ্ঠান হয়।

সংসদের বিশেষ অধিবেশনের জন্য তিনি কতটা তৈরি তার জবাবে সামিরুল বলেন,  তিনি শুধু শপথই নিয়েছেন। এখনও রাজ্যসভার সাংসদের সচিত্র পরিচয়পত্রও পাননি। তিনি আরও জানান, এখনও দলের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশেষ অধিবেশন নিয়ে কিছু বলা হয়নি। অন্যদিকে প্রকাশ চিক বরাইক ততটা বিচলিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও সাংসদ হিসাবে আমার কাছে বিশেষ অধিবেশন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি আসেনি। এলে দল যেমন বলবে,  তেমনই করব।’’  এখন তাঁদের ভরসা দলের দীর্ঘ দিনের সাংসদরা। 

তবে এই দুই সাংসদই এখন কর্মব্যস্ত। গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের রসায়নের অধ্যাপক সামিরুল বিভিন্ন জেলায়  যাচ্ছেন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীতে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পরিষেবা রূপায়ন করতে। সারা বছর তাঁদের নিয়েই কাজ করে থাকেন তিনি । কোভিডের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ গঠন করেছিলেন তারও চেয়ারম্যান ছিলেন সামিরুল।  প্রকাশ চিক বরাইক ব্যস্ত ধূপগুড়ির উপনির্বাচন নিয়ে।

সংসদের অধিবেশন ডাকার পরের দিনই কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত কমিটি গড়ার কথা জানায়।  আর তাকে নিয়েই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের অনুমান, যখন তখন ভোট ঘোষণা করা হতে পারে। আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা এই বছরের শেষেই লোকসভা ভোট ঘোষণা হতে পারে। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষট সময়ের আগে লোকসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে আরও এক জল্পনা মাথা চাড়া দিচ্ছে। সূত্রের খবর, এই বিশেষ অধিবেশন পুরনো সংসদ ভবন থেকে নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশের স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তোলাও হতে পারে।  পাশাপাশি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত কমিটি গঠনও সংসদের বিশেষ অধিবেশনের উদ্দেশ্য নিয়ে কৌতূহল তৈরি করেছে। এক দেশ , এক ভোটের বিল এই বিশেষ অধিবেশনে পেশ করতে পারে সরকার এমন জল্পনাও ডানা মেলেছে।