দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর – লোকসভা ভোটের ফের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর ইস্যু। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি রোহিণীর নেতৃত্বাধীন কমিশন এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। সরকারি সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে সংরক্ষণ বাড়ানোর সুপারিশ থাকতে পারে। সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সমতা আনতে ওবিসি-দের মধ্যে আরও কয়েকটি বিভাগ সৃষ্টি করা হতে পারে।
সরকারি সূত্রে খবর, প্রায় হাজার পাতার রিপোর্টটি দুটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে কীভাবে ওবিসি কোটা বরাদ্দ করা উচিত, তা নিয়ে। দ্বিতীয় অংশে সারা দেশে ২,৬৩৩টি ওবিসি জাতির একটি নয়া তালিকা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবরে তৈরি রোহিণী কমিশনের ১২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের কথা ছিল। কিন্তু তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্ট তৈরি সম্পূর্ণ না হওয়ায় কমিটির মেয়াদ বেড়ে যায়। বিহারে জাতগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় মধ্যেই রোহিণী কমিশনের রিপোর্ট পেশের ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক তৈরি করতে পারে বলে অনুমান
ওবিসিদের জন্য এখন সরকারি চাকরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। সারা দেশে এই সংরক্ষণের আওতায় পড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার সম্প্রদায়। তবে তাদের মধ্যে মাত্র গোটা পঞ্চাশেক গোষ্ঠী সংরক্ষণের মূল সুবিধা ভোগ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারের উচ্চপদে উচ্চবর্ণের তুলনায় ওবিসিদের বেশি দেখা গেলে সামাজিক সমীকরণই বদলে যাওয়ার আশঙ্কা। তিন দশক আগে মণ্ডল কমিশনের বিরুদ্ধে যেমন ব্রাহ্মণ, উচ্চবর্ণের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ফের তেমন আন্দোলন শুরু হতে পারে।
এই আবহে লোকসভা ভোটের আগে আদৌ বিজেপি ওবিসি সংরক্ষণ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শামিল হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। রোহিণী কমিশনের রিপোর্ট কি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদেরও এ বার প্রশ্নের মুখে ফেলবে?