• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পথ অবরোধে বিপর্যস্ত মণিপুরে দ্রুত ওষুধ, খাদ্য সরবরাহের করুক কেন্দ্র : সুপ্রিম কোর্ট 

ইম্ফল, ২ সেপ্টেম্বর–  জাতি হিংসার জেরে জর্জরিত মনিপুর নিয়ে এবার কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নতুন নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।জনজাতি সংগঠনগুলির লাগাতার পথ অবরোধের জেরে মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের পর হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে খাদ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের জন্য কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিল

ইম্ফল, ২ সেপ্টেম্বর–  জাতি হিংসার জেরে জর্জরিত মনিপুর নিয়ে এবার কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নতুন নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।জনজাতি সংগঠনগুলির লাগাতার পথ অবরোধের জেরে মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের পর হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে খাদ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের জন্য কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে।

মণিপুরের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে কেন্দ্রীয় এবং মণিপুর রাজ্য সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মৌলিক সরবরাহগুলি বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।’ পাশাপাশি, মণিপুরের জনসংখ্যার কোনও অংশ অবরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের আইনজীবী হিসাবে শুনানিতে অংশ নেওয়া পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে।

প্রসঙ্গত,  মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ের জেলাগুলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলির তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কট্টরপন্থী জনজাতি সংগঠন ‘কুকি-জ়ো ড়িফেন্স’ ফোর্স গত ২৬ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট কালের পথ অবরোধ শুরু করেছে। এর ফলে জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলি পেরিয়ে ভিনরাজ্য থেকে রাজধানী ইম্ফলে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে বাধার মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ। এর আগে গত মাসে কুকি-জ়ো জনজাতি গোষ্ঠীর মহিলারা দিল্লিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার গোষ্ঠীহিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছে, তা জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ঠিক ভাবে বণ্টন করছে না মেইতেই প্রভাবিত মণিপুর সরকার।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র ও মনিপুর সরকার যাতে নিরপেক্ষ ভাবে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ তদারকির জন্য জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলির জন্য পৃথক প্রশাসন প্রয়োজন বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা।