• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

তরুণ প্রজন্মকেই প্রাধান্য,  ইন্ডিয়া-র কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাদ গান্ধি 

মুম্বই, ১ সেপ্টেম্বর–  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘সময় নেই সময় নষ্ট করার!’ অরবিন্দ কেজরীওয়াল বললেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য স্তরে আসন বণ্টনের সূত্র ঠিক করে ফেলা হোক।’ নীতীশ কুমার বললেন, ‘অনেক আলোচনা হয়েছে। এ বার যা করার তাড়াতাড়ি করে ফেলতে হবে।’ উদ্ধব ঠাকরেও একই কথা বললেন। কংগ্রেসের নেতারা মনে করিয়ে দিলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের

মুম্বই, ১ সেপ্টেম্বর–  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘সময় নেই সময় নষ্ট করার!’ অরবিন্দ কেজরীওয়াল বললেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য স্তরে আসন বণ্টনের সূত্র ঠিক করে ফেলা হোক।’ নীতীশ কুমার বললেন, ‘অনেক আলোচনা হয়েছে। এ বার যা করার তাড়াতাড়ি করে ফেলতে হবে।’ উদ্ধব ঠাকরেও একই কথা বললেন। কংগ্রেসের নেতারা মনে করিয়ে দিলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাঁরা ব্যস্ত থাকবেন। তাই তার আগেই কাজ শুরু করে দিতে হবে। দ্রুত কাজের বাণী শুধু নেতাদের মুখে নয় দেখা গেল কাজেও। মারাঠাভূমে ২৬ দলের এই বৈঠকে গঠন করা অল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তৎপূর্যপূর্ণ ভাবে যাতে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১৩ সদস্যের কমিটিতে সিপিআইয়ের ডি রাজা আছেন। কিন্তু সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বা তাঁর দলের কারও নাম নেই । কিন্তু রাজা এবং সীতারাম দু’জনেই মুম্বইয়ের বৈঠকে উপস্থিত আছেন। অন্যদিকে এই কমিটিতে নেই গান্ধি পরিবারের কেউ ।

শুক্রবার মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে বিরোধীদের তৃতীয় বৈঠকে বিরোধীদের তরফে ঠিক হল ১৩ সদস্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তাতে সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে রয়েছেন শরদ পওয়ার (এনসিপি)। অন্যান্য সদস্যরা – হেমন্ত সোরেন (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা), কে সি বেণুগোপাল (কংগ্রেস), সঞ্জয় রাউত (শিব সেনা), ওমর আবদুল্লাহ (এনসি), মেহবুবা মুফতি (পিডিপি), ডি রাজা (সিপিআই), টি আর বালু (ডিএমকে), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), রাঘব চাড্ডা (আপ), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল), লালন সিং (জেডিইউ), জাভেদ আলি খান (সমাজবাদী পার্টি)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি নেই কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে। নেই গান্ধী পরিবারের কেউ। কংগ্রেসের তরফে কে সি বেণুগোপালকে এই কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে। আসলে তরুণ প্রজন্মকেই এগিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কমিটিতে।

উল্লেখ্য, মমতার উত্তরসূরি হিসেবে অভিষেক বন্দোপাধ্যের এই কমিটিতে সামিল হওয়া মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে একাধিকবার উঠে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি নানা রাজনৈতিক বৈঠকে উপস্থিত থেকেছেন। এমনকী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও বেঙ্গালুরুতে ছিলেন অভিষেক। বুধবার ভোরে দিল্লিতে রাহুল গান্ধি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেছেন তিনি। এরপরই দেখা গেল, মুুম্বইয়ের বৈঠকে ১৩ সদস্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।