• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

এবার সরাসরি ট্রেনে যাওয়া যাবে সিকিম!

সিকিম:- পরের বছর জানুয়ারি মাস নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে সিকিম রেল পরিষেবা চালু হয়ে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেনে বসে সোজা নামবেন সিকিমে। ফলে সিকিম পৌঁছনোর খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল। আর শিলিগুড়ি থেকে ভাড়া দিয়ে সিকিম পৌঁছতে হবে না। রেল পরিষেবার একটি বড় সুযোগ পেতে চলেছে সিকিম। পশ্চিমবঙ্গ ও

সিকিম:- পরের বছর জানুয়ারি মাস নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে সিকিম রেল পরিষেবা চালু হয়ে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেনে বসে সোজা নামবেন সিকিমে। ফলে সিকিম পৌঁছনোর খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল। আর শিলিগুড়ি থেকে ভাড়া দিয়ে সিকিম পৌঁছতে হবে না। রেল পরিষেবার একটি বড় সুযোগ পেতে চলেছে সিকিম। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। পশ্চিমবঙ্গের সেবক এবং সিকিমের রংপোর মধ্যেই এই রেলপথটি নির্মিত হচ্ছে।জানা গিয়েছে,  ধীরে ধীরে এটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেবক-রংপোর মধ্যে টানেলের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সূত্রের খবর, প্রজেক্ট ডিরেক্টর শ্রী মহিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিমের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সমস্ত কাজ শেষ করে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, প্রজেক্ট ডিরেক্টর জানান, ইতিমধ্যেই টানেল নম্বর ৩-এর ব্রেকথ্রু সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এতে পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৪টি টানেল, ১৭টি রেল সেতু। পুরো প্রকল্পের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার টানেলের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সিকিম রাজ্যের যোগাযোগ বাড়ানোর আশা করছে। এই রেলপথ স্থাপন হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এই রেলপথ স্থাপন হলে বিকল্প বন্দোবস্ত হবে। যা গাড়িভাড়াকেও নিয়ন্ত্রণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের এই রুটে পর্যটন নতুন মাত্রা পাবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ গোটা দেশ থেকে এই এলাকায় পৌঁছে যাবেন কম খরচে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজার একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে চেষ্টা চলছে।