• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অরুণাচল প্রদেশকে ফের নিজেদের বলে দাবি চিনের 

দিল্লি, ২৯ আগস্ট – অরুণাচল প্রদেশকে ফের নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করল চিন। নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে ফের অরুণাচল প্রদেশকে তার অন্তর্ভুক্ত করেছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জি-২০ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই সংঘাতের সুর চিনের গলায়। ২০২৩ সালে চিনের স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র বিতর্ক সামনে আসতেই  কড়া

দিল্লি, ২৯ আগস্ট – অরুণাচল প্রদেশকে ফের নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করল চিন। নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে ফের অরুণাচল প্রদেশকে তার অন্তর্ভুক্ত করেছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জি-২০ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই সংঘাতের সুর চিনের গলায়। ২০২৩ সালে চিনের স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র বিতর্ক সামনে আসতেই  কড়া বিবৃতি দিল নয়া দিল্লিও। জি-২০ সম্মেলনের আগে এই বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করা আসলে শি জিনপিংয়ের দেশের একটি প্রোপাগান্ডা- এমনটাই মনে করছে ভারত।

এ বছর জি ২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। কয়েকদিন পরই দিল্লিতে এই গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন হবে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি আসার কথা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। তবে তার আগেই ফের নতুন করে ভারত-চিন সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হল বেজিংয়ের প্রকাশিত মানচিত্রকে ঘিরে। সোমবার বেজিং মানচিত্র প্রকাশ করে। তাতে অরুণাচলকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে চিন। এই বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশের কয়েকদিন আগেই জোহানেসবার্গে প্রকাশ্যে করমর্দন করতে দেখা যায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বলেও নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয় । দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথোপকথন নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব জানান, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি প্রতিষ্ঠা করা খুবই প্রয়োজন। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজার রাখতে জিনপিংয়ের কাছে আবেদন করেন মোদি । উল্লেখ্য,  লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে বেশ কয়েক দফায় সেনা পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে সীমান্তে। তবে তাতে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এরই মধ্যে এবার বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ চিনের।  

মানচিত্র প্রকাশের পর চুপ নেই ভারতও। সরকারের পক্ষ থেকে সাফ বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘অরুণাচল প্রদেশ আমাদেরই ছিল, আছে এবং থাকবে। এই রাজ্য আমাদের দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’  নয়া দিল্লি বলে, ‘গোটা বিশ্ব জানে চিন কতটা আগ্রাসী এবং বেআইনিভাবে নানা অঞ্চল দখল করতে পারদর্শী। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চিনের এই মানচিত্র সম্পূর্ণ বেআইনি।’

টাইমসের একটি পোস্ট ভাইরাল  হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপের ২০২৩ এডিশনে ভারতীয় ভূখণ্ডের একাধিক অংশকে চিনের এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন, তাইওয়ান এবং বিতর্কিত সাইথ চায়না সি। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভারত। কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও। কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ‘G20-র বৈঠকে দিল্লিতে যেন জিনপিংকে আসতেই না দেওয়া হয়’। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি দাবি করেন, ‘ এই জটিলতা তৈরি হয়েছে কারণ চিন আমাদের সীমান্তে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে এসেছে। তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন জায়গায় আমাদের জমি দখল করেছে।’ মণীশ তিওয়ারি এরপর বলেন, স’রকারের গভীর ভাবে চিন্তা করা উচিত, জিনপিংকে দিল্লিতে ডাকা হলে তা ভারতের আত্মসম্মানবোধে আঘাত হবে। আমাদের দেশের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। চিনের এই সদ্য প্রকাশিত মানচিত্র কোনও ভাবেই ভারত-চিন ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চিনের উচিত ভারতের যে জমি তারা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে, তা খালি করে দেওয়া