• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মহাকাশ বিজ্ঞানে বরাদ্দ ৯.২ শতাংশ কমাল কেন্দ্র

দিল্লি, ২৯ আগস্ট – ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় মহাকাশ বিজ্ঞানে চলতি বছরে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এবারের বাজেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বরাদ্দ বাড়ালেও, মহাকাশ বিজ্ঞানে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় বাজেটে  মহাকাশ গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে বরাদ্দ হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৩.৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দ কমেছে প্রায় ৯.২ শতাংশ। 

দিল্লি, ২৯ আগস্ট – ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় মহাকাশ বিজ্ঞানে চলতি বছরে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এবারের বাজেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বরাদ্দ বাড়ালেও, মহাকাশ বিজ্ঞানে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় বাজেটে  মহাকাশ গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে বরাদ্দ হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৩.৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দ কমেছে প্রায় ৯.২ শতাংশ।   

চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০৮-এ হয়েছিল চন্দ্রযান-১ মিশন। এরপর ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণ করে ইসরো।  কিন্তু সেই অভিযান সফল না হওয়ায় ফের শুরু হয় চাঁদকে জেতার লড়াই।  চার বছরের পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩।

২০২৫ সালের মধ্যে শুরু হবে ইসরোর গগনযান মিশন। কিন্তু চলতি বছরে মহাকাশ গবেষণায় কেন্দ্রের এই বরাদ্দ নিয়ে নানা  প্রতিক্রিয়া মিলেছে।

মহাকাশ বাজেটের সিংহভাগ পায় ইসরো। টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের হোমি ভাবা সেন্টার ফর সায়েন্স এডুকেশনের সহযোগী অধ্যাপক অনিকেত সুলে এই বরাদ্দ নিয়ে বলেন,  “বিভাগটি পর্যাপ্ত তহবিল পাচ্ছে কিনা তা পরিমাপ করা কঠিন। কারণ সংস্থার অধিকর্তারা বর্তমান প্রকল্পের উন্নয়নে কত খরচ হচ্ছে তা সামনে আনেননি। ইসরো অবশ্য বিদেশী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ থেকেও আয় করে।”

অন্যদিকে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ -এর অধ্যাপক সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমানে বিজ্ঞানের এই বিভাগ ভালো কাজ করছে। মহাকাশ বিজ্ঞানের উন্নতিতে এই দফতরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ন্যায্য। তবে তাদের আরও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।”

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের তরফে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় ১২ হাজার ৫৪৩.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।  এই অর্থ পাবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস অর্থাৎ মহাকাশ গবেষণা বিভাগ।  এরই মধ্যে যেমন রয়েছেন ইসরো , তেমন রয়েছে নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড ও ইনস্পেস। তারাও তাদের সমস্ত গবেষণার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাবে।

এদিকে satsearch.co-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রসাদের কথায়, “সরকার ইতিমধ্যেই গগনযান মিশনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। চন্দ্রযান-৩-ও পাঠানো হয়েছে চাঁদে। প্রতিটি গবেষণা ও প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা বাজেট ভাগ করা হয়। বছরে কয়টি উৎক্ষেপণ বাস্তবায়িত হবে তার উপর নির্ভর করে বাজেট বরাদ্দ। আগামী ১০ বছর ধরে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।”

উল্লেখ্য রিপোর্ট অনুসারে, ভারত বছরে প্রায় পাঁচ-সাতটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। বিপরীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া ২০১৯ সালে যথাক্রমে ১৯টি, ২৫টি এবং ৩৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল।

 
ইসরো কম বাজেটের মহাকাশ অভিযানের জন্য পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, ভারত মার্স অরবিটার মিশনে  ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসার মঙ্গল বায়ুমণ্ডল ও বিবর্তন অনুসন্ধানের জন্য MAVEN মিশনের কাছে যা কিছুই নয়। এই মিশনে নাসা ব্যয় করেছে বিপুল পরিমাণ টাকা। এ বিষয়ে সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবকিছু সস্তায় করা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে কম বাজেট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।”

সুলের কথায়, “কর্মীদের কম বেতন এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ও কম হওয়ার কারণে ভারত কম খরচে মিশনগুলি চালাতে সক্ষম হয়েছে।”


প্রসাদ বলেন, “ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনা করা অনুচিত। ভারত নিজেই একটি উন্নতিশীল দেশ। মহাকাশ অর্থনীতিতেও উন্নতি করছে ধীরে ধীরে। কিন্তু বাজেটের সীমাবদ্ধতার অর্থ এই নয় যে কিছুই করা সম্ভব নয়। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা চালাতে হবে।”