উত্তরবঙ্গ:- পুজো প্রায়ই চলে এসেছে। এদিকে আবার বর্ষাতেও পাহাড়ে ছুটছেন পর্যটকরা। এর আগে বর্ষাতে এতো পর্যটকের ভিড় পাহাড়ে হয়নি। আর এই বর্ষার ভিড়েই একলা হতে চলে আসুন কালিম্পংয়ের কাছেই অফবিট লোকেশন বেনদা তে। ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটা উপত্যকায় তৈরি হয়েছে এই গ্রামটি। ছোট ছোট কটেজে রয়েছে হোমস্টে। সঙ্গে আবার তিরতির করে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি ঝোড়া। গ্রামের ছেলেদের মাঝে ফুটবল খেলা দেখতে মন্দ লাগবে না। একেবারেই পর্যটকদের ভিড় নেই এখানে। সন্ধে থেকে আগুন জ্বালিয়ে জমিয়ে আড্ডা। তার সঙ্গে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা মোমো আর স্যুপ। চাইলে চিকেন পকোরাও খেতে পারেন। দূরে উঁকি দিলে দেখা যাবে কাঞ্জন জঙ্ঘা। অবশ্য আকাশ পরিষ্কার থাকলেই সেই সুযোগ পাওয়া যাবে। সামনেই আবার সিকিমের পাহাড়। রাতে ঝিকমিক করতে থাকে আলো। আবার গ্রামের কাছেই ছোট্ট নদীর পাড়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। চার পাশে বিভিন্ন রকমের সব চাষ। সরু রাস্তা দিয়ে গিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এই নদীর পাড়ে। পাশেই রয়েছে মন্দির। ঋষি খোলা নদীর কুলুকুলু করে বয়ে যাওয়া আর তার পাড়ে ছোট্ট একটা মন্দির। মন ভরে যাবে। অনেকে এখানে ট্রেক করতে পারেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে অসংখ্য ফুলের গাছ। দুএকটা দিন অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। বেনদায় খুব একটা পর্যটকদের সমাগম হয় না। তাই এখানে আসতে হলে আগে থেকে হোমস্টে বুক করে আসাই ভালো। কালিম্পং থেকে গাড়ি করেও আসা যায়। তবে হোমস্টের গাড়িতে এলে সুবিধা হবে বেশি। এনজেপি থেকে শেয়ার গাড়িতে পৌঁছে যান কালিম্পং সেখান থেকে আবার গাড়ি করে বেনদা।