শুনলে আশ্চর্য হবেন কিন্তু এটাই সত্যি। রিপোর্ট অনুযায়ী, পতৌদি প্রাসাদের অন্তর্গত সমস্ত কিছু এবং দুই পৈতৃক সম্পত্তির মূল্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সাইফ তার পৈতৃক সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেন না চার সন্তানকে। দুই স্ত্রী অর্থাৎ অমৃতা সিং-এর সন্তান সারা, ইব্রাহিম ও কারিনা কাপুরের ছেলে তৈমুর বা জহাঙ্গীর, কেউই এই সম্পত্তির ভাগীদার হতে পারবেন না! এর আগে মালিকানাধীন পৈতৃক ভিটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাইফ জানিয়েছিলেন, বলিউডে কাজ করতে করতে এগুলো পরিচালনা করা খুব কঠিন ছিল একসময়।
সাইফ যেভাবে তার বাবার থেকে সব সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন, সেভাবে নিজের সন্তানদের তিনি দিতে পারবেন না নিজের সম্পত্তি। কারণ পতৌদিদের এই বাড়ি ১৯৬৮ সালে ভারত সরকারের ‘এনিমি ডিসপুট অ্যাক্ট’-এর অধীনে চলে যায়। প্রতিবেদন অনুসারে, কেউ এই জাতীয় সম্পত্তির ওপর অধিকার দাবি করতে পারে না এবং সেগুলোর উত্তরাধিকারী হতে পারে না।
পতৌদি হাউসের ভেতরে থাকা সমস্ত বিলাসবহুল সম্পদ এবং সব কিছু এই আইনের আওতায় আসে, সে কারণে সাইফের চার সন্তান এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবেন না। রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইফের প্রপিতামহ হামিদুল্লাহ খান ব্রিটিশ শাসনকালে নবাব ছিলেন।
তিনি তার সমস্ত সম্পত্তির কোনো উইল করতে পারেননি। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিজেদের নামে করতে ব্যর্থ সাইফ আলী খান ও তার আগামী প্রজন্ম।