• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের, সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল

দিল্লি, ২১ আগস্ট –  রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য। এই মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ইডি-সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে চাইল না শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিমকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয়। অর্থাৎ,

দিল্লি, ২১ আগস্ট –  রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য। এই মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ইডি-সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে চাইল না শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিমকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয়। অর্থাৎ, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাই বহাল থাকছে।  রাজ্যের পুরসভাগুলিতে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা উঠলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
 বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মামলাটির নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে  কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। পরে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা ওঠে। সেখানেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল থাকে। ফের সিবিআই তদন্ত খারিজ করার আর্জি নিয়ে রাজ্য শীর্ষ আদালতে যায়। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুনানিতে সেই আর্জি খারিজ করে জানায়, তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে তারা সন্তুষ্ট।
পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির যোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডির হাতে এসেছে বলে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। তাই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার রইল সিবিআই ও ইডি-এর হাতেই। ঘুষের টাকা কাদের হাতবদল হয়ে কোথায় পৌঁছয় , সেই সন্ধানও পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত যে অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছিল, তদন্ত চালিয়ে হাই কোর্টে তার রিপোর্ট জমা করেন তদন্তকারীরা। এই সংক্রান্ত প্রমাণও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টিতে শীর্ষ আদালত সন্তুষ্ট, এই কথা জানিয়েই রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সিবিআইয়ের ১০০ জনেরও বেশি আধিকারিক, ১৪টি টিম পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একইসঙ্গে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল । নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম,পানিহাটি, কামারহাটি, চুঁচুড়া ও দমদম সহ বিভিন্ন পুরসভায় তল্লাশি চালিয়ে  মেলে একাধিক নথি।
হাই কোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। কিন্তু রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের আগেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় বিচারপতি অসন্তুষ্ট হন,  রাজ্যকে ভর্ৎসনাও করা হয়। সেই সময় রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রত্যাহারের পর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আবার মামলাটি শোনে। কিন্তু তারাও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।  সেই নির্দেশ শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু সোমবার সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের করা আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।