• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মোদি-শি বৈঠকের আগে ফের ‘সীমা’ আলোচনায় ভারত-চিন

দিল্লি, ১৯ আগস্ট– দু’পক্ষই চাইছে সীমান্তে সেনা সমাবেশ কমাক অন্যপক্ষ। আর এতেই ভেস্তে গেল ভারত-চিন সামরিক পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠক। সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দিন পাঁচেক আগে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় কোনো রফাসূত্র বের হয়নি এই বৈঠকে। কারণ ভারত দাবি করে, চিন সীমান্তে সেনা সমাবেশ কমাক। পাল্টা একই দাবি করে চিন। কোনও পক্ষই অভিযোগ স্বীকার

দিল্লি, ১৯ আগস্ট– দু’পক্ষই চাইছে সীমান্তে সেনা সমাবেশ কমাক অন্যপক্ষ। আর এতেই ভেস্তে গেল ভারত-চিন সামরিক পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠক। সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দিন পাঁচেক আগে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় কোনো রফাসূত্র বের হয়নি এই বৈঠকে। কারণ ভারত দাবি করে, চিন সীমান্তে সেনা সমাবেশ কমাক। পাল্টা একই দাবি করে চিন। কোনও পক্ষই অভিযোগ স্বীকার করেনি।

সেই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পাঁচদিনের মাথায় ফের শুরু হয়েছে দু-দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক। লাদাখের দৌলত বেগ অল্ডি এবং চুশুলে মেজর জেনারেল পর্যায়ের এই বৈঠক শুক্রবার শুরু হয়ে শনিবারও চলে। যা থেকে স্পষ্ট দু-পক্ষই শীত আসার আগে সীমান্ত বিরোধ মীমাংসায় অগ্রগতি প্রত্যাশা করছে। তবে এই তৎপরতার পিছনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ব্রিক্স সম্মেলনও অনুঘটকের কাজ করছে বলে কূটনৈতিক মহলের খবর।

২২-২৪ আগস্ট ব্রিক্সের সদস্য দেশগুলির (ভারত-চিন-রাশিয়া-ব্রাজিল-সাউথ আফ্রিকা) রাষ্ট্রপ্রধানেরা সম্মেলনে মিলিত হবেন। বেজিং এবং নয়া দিল্লির তরফে চেষ্টা আছে সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি বৈঠক হোক। সেই বৈঠকের সম্ভাবনা জোরালো হতে পারে লাদাখে চলা সামরিক কর্তা পর্যায়ের দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পরিণতির উপর। সীমান্ত বিরোধ মীমাংসায় ইতিবাচক পদক্ষেক মোদি সরকারের জন্য খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিরোধীরা চিন নিয়ে হামেশাই সরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছে। রাহুল গান্ধির অভিযোগ, চিন সীমান্তে ভারতীয় ভূ-খণ্ড দখল করে রেখেছে।এর আগে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ভারত ও চিনের মধ্যে ১৯তম সামরিক পর্যায়ের আলোচনায় পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চালু সমস্যাগুলির সমাধানের বিষয়ে আলোচনা মঙ্গলবার শেষ হয়। ভারত চেয়েছিল আসন্ন শীতের আগেই চিন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিক। কিন্তু ভারতীয় সামরিক কর্তাদের পরামর্শ চিনের সেনা কর্তারা মানতে চাননি।

সীমান্ত আলোচনা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ভারত ও চিন সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংলাপ এবং আলোচনার গতি বজায় রেখে অবশিষ্ট সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সময়ে, উভয় পক্ষ সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। লাদাখের চুশুল-মোল্ডো সীমান্ত মিটিং পয়েন্টে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। পাঁচদিনের মাথায় সেই চুশুলে ফের সেনা কর্তা পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তে দু-পক্ষই সীমান্ত বিবাদের বরফ গলার প্রত্যাশা করছে।