• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

একপ্রান্তে বৃষ্টি অন্যপ্রান্তে খরা দেখবে ভারত

দিল্লি, ১৬ আগস্ট– ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তর ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে  মুহুর্মুহু ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বান হিমাচলে গত দু’দিনে বহু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। কিন্তু এই বর্ষার একদম উলটো ছবি ভারতেই অন্য প্রান্তে। পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হলেও আগস্টে কার্যত বিদায় নিয়ে ফেলেছে বর্ষা। যদিও, মৌসম

দিল্লি, ১৬ আগস্ট– ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তর ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে  মুহুর্মুহু ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বান হিমাচলে গত দু’দিনে বহু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। কিন্তু এই বর্ষার একদম উলটো ছবি ভারতেই অন্য প্রান্তে। পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হলেও আগস্টে কার্যত বিদায় নিয়ে ফেলেছে বর্ষা।

যদিও, মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী ১৮ অগস্টের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আবার বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই বৃষ্টি অবশ্য খুব বেশি হবে না। ফলে অগস্টের প্রথম ১৫ দিনের ঘাটতি মিটবে কি না, সংশয় রয়েছে। পশ্চিম উপকূল ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে আবহাওয়া বৃষ্টির অনুকূল বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের গড় (এলপিএ)-এর চেয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব এ বছর পাঁচ শতাংশ বেশি ছিল জুলাই মাসে। কিন্তু অগস্টের প্রথম ১৫ দিনেই বর্ষার ভোল বদলে গিয়েছে। দেশের ৭১৭টি জেলার মধ্যে অন্তত ২৬৩টি জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম। অগস্টে এখনও পর্যন্ত ২০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে এই জেলাগুলিতে। অথচ, এখানেই জুলাই মাসে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

মূলত, পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে আগস্ট মাসে বৃষ্টি কমেছে। এই তালিকায় একেবারে প্রথমে রয়েছে বিহার। যেখানে ৩৮টির মধ্যে ৩১টি জেলায় বৃষ্টি প্রয়োজনের তুলনায় কম হয়েছে। কেরলের ১৪টি জেলাতেই অগস্টে বৃষ্টি অনেকটা কমে গিয়েছে। বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঝাড়খণ্ডের ২৪টির মধ্যে ২১টি জেলায়। এমনকি, উত্তর প্রদেশেও বৃষ্টি কম হয়েছে। সেখানে ৭৫টি জেলার মধ্যে অন্তত ৪৬টি জেলায় অগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়নি। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, এই হারে বৃষ্টি চললে কোথাও কোথাও খরার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।